ফের ক্রোয়েশিয়ার জয়ের নায়ক সোভাসিচ

Slider খেলা

104339_bangladesh_pratidin_bdp-sobasic

রাশিয়া বিশ্বকাপের ক্রোট গোলরক্ষক দানিয়েল সোভাসিচের চমক চলছেই। নক-আউট পর্বে তার নৈপুণ্যে পেনাল্টি শুটআউটে ডেনমার্ককে হারিয়ে কোয়ার্টারে ওঠে ক্রোয়েশিয়া।

এবার রাশিয়াকেও একই পন্থায় বধ করল লুকা মদ্রিচরা। আর তাদের জয়ের মূল নায়ক সেই সোভাসিচ।
ডেনমার্কের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে ৩টি পেনাল্টি আটকে দেন সোভাসিচ। ভাগ বসান ২০০৬ সালে পর্তুগীজ তারকা রিকার্ডোর ৩টি পেনাল্টি শট আটকে দেওয়ার রেকর্ডে। আর রাশিয়ার বিপক্ষে গতরাতে আরও ১টি পেনাল্টি শট আটকে দেওয়া। আরেকটি বারের বাইরে দিয়ে যাওয়ায় ৩-৪ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় রুশ ফুটবল দল। এছাড়া মূল ম্যাচে এদিন সোভাসিচ ৫টি গোল সেভ করেছেন।

কে এই সোভিসিচ?

ক্রোয়েশিয়ার এই পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় দানিয়েল সোভাসিচের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৭ অক্টেবর জাদারে। গোলকিপার হিসেবে তিনি মোনাকো ও ক্রোয়েশিয়া জাতীয় ফুটবল দলে দারুণভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সোভাসিচ ২০০৩-০৪ মৌসুমে জারদারে পেশাগত ফুটবল শুরু করেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ‘টপ ফ্লাইট’ থেকে জারদারের বেরিয়ে যাওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ান দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবের প্রথম দলের হয়ে নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০৮ সালের সালের গ্রীষ্ম মৌসুমে তাকে ধারে দলে নেয় হজদুক স্প্লিট। পরে ২০০৮-০৯ মৌসুমের প্রথমার্ধে ১৮টি লিগ ম্যাচের সবকটি ম্যাচে উপস্থিত থেকে ক্লাবের নিয়মিত হয়ে ওঠেন সোভাসিচ। মৌসুমে শীতকালীন বিরতির সময় ক্লাব তাকে স্থায়ী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। ক্লাবটির জন্য আরও ১৩টি লিগে উপস্থিতি থেকে সোভাসিচে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে স্থায়ীভাবে তার অবস্থান ধরে রাখেন।

২০০৯-১০ সালে হজদুকদের সাথে তাঁর দ্বিতীয় মৌসুমে মোট ২৪টি লিগ ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি উয়েফা ইউরোপা লিগ কোয়ালিফাইংয়ের অন্য দু’টি খেলায় অংশগ্রহন করেন তিনি। এছাড়াও ক্লাবটির ক্রোয়েশিয়ান কাপ জয় করতে সাহায্য করেন সোভাসিচ। ২০১০-১১ মৌসুমে তিনি লিগে মোট ২০টি ম্যাচ খেলেন। নভেম্বরের প্রথম দিকে তিনি হাঁটুতে আঘাত পেলে নতুন বছরের শুরুর আগেই তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। তবে আঘাতের আগে এবং পরে সব সময়ই তিনি ছিলেন প্রথম পছন্দ।

২০১২ সালের জানুয়ারিতে সোভাসিচ এএস মোনাকোতে যোগদান করেন। পরে ১০ আগস্ট, ২০১৩ সালে বরোডোর বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জয় অর্জনের পর তার অভিষেক হয় মোনাকোতে লিগ-১ এ।

উল্লেখ্য, সেইবার লিগে-১ এ মোনাকো প্রথম ১৩টি ম্যাচে মাত্র একটি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল।

জাতীয় দলে জার্সিতে সোভাসিচের অভিষেক হয় ১ মার্চ, ২০০৬ সালে। ডেনমার্কের বিপক্ষে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্রোয়েশীয় জাতীয় দলের সাথে তিনি আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন। একই বছরে তিনি দলকে মোট ৬টি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *