টঙ্গীতে ভোট দেয়ার পর সংশয় প্রকাশ করলেন হাসান সরকার

Slider বাংলার মুখোমুখি

fea60ff91898dab7fb2160d62ad61b8e-5b31ae06ebaad

টঙ্গী: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কলেজ রোড টঙ্গী এলাকায় বছিরউদ্দিন উদয়ন একাডেমি কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এরপর কেন্দ্রের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিজের সংশয়ের কথা জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র পার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে আমার শঙ্কা আছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সাদা পোশাকে নেতা–কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। সব ভোটকেন্দ্রের অবস্থা বোঝার পর বোঝা যাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি না। যে কৌশলে ভোট নেওয়া হচ্ছে, তাতে কয় শতাংশ ভোট হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’

হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেন, তাঁর অনেক এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেক নেতা-কর্মীকে। শেষ পর্যন্ত ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তিনি।

হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে তারপরও আমি শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আমার নেতা–কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অভিযোগ জানানোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার ফোন করা সত্বেও তিনি ফোন ধরছেন না।’

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘নির্বাচন করতে যেহেতু নেমেছি, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।

নির্বাচনের ফলাফল বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। জনগণ যদি ফলাফল মেনে নেয়, তবে যেকোনো ফলাফল মেনে নেব।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হয়। ভোট চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এরপর হবে ভোটগণনা। তারপর ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথম এই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এর ফল প্রভাব ফেলবে জাতীয় রাজনীতিতে।

২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান এক লাখ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লা খানকে পরাজিত করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ৫৭ টির মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন ও সংরক্ষিত ১৯ নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন এবং একটি মেয়র পদের জন্য সাতজন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। মোট ৩৪৫ জন প্রার্থী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *