‘দুদকের চার্জশিট অত্যন্ত দূর্বল’

বাংলার আদালত

dudokঅনুসন্ধান ও তদন্তে ঘাটতির কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার্জশিট অত্যন্ত দূর্বল হয় বলে মন্তব্য করেছেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক।

মঙ্গলবার সেগুন বাগিচায় শিল্পকলা একাডেমীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০১৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, দুদকের অনেক মামলা হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। কারণ, তাদের চার্জশিট হয় অত্যন্ত দূর্বল। এ কারণে বিচার করা অত্যন্ত দুরুহ ব্যাপার। তাই দুদকের কাছে মানুষ যেতে চায় না।

দৃশ্যমান শাস্তি না হলে জনগণ দুদকের ওপর থেকে আস্থা হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করেন তারা খুব ধূর্ত হন। তাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হলে দুদককে চোখা হতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দ্রুততর গতিতে কাজ করতে হবে। কেন না দেরি হলে কাগজপত্র হারিয়ে যাবে। তাই অনুসন্ধান ও তদন্তের দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে। প্রয়োজনে বিচার বিভাগ, সরকার ও মিডিয়ার সাহায্য নিতে পারেন।

বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, আমি যখন প্রধান বিচারপতি ছিলাম, তখন ২০১০ সালে টিআইবির একটি রিপোর্ট্ প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে বিচার বিভাগের দুর্নীতির কথা বলা হয়। তিনি বলেন, তখন টিআইবি কর্তা ব্যক্তিদের ডাকা হয়েছিল। তারা কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।

তাদের রিপোর্টে বিচার সংক্রান্ত ১২০০শ’ বিষয়ে দুর্নীতির কথা বলা হয়। যখন তাদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য চাইলাম, তারা মাত্র ৫ জন বিচারকের দুর্নীতির তথ্য দিলেন। তাও আবার ৫শ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। যখন নাম চাইলাম তখন টিআইবি বললো এটা ধারণা। এটা আশ্চর্যজনক। এটা হতে পারে না।

পদ্মাসেতুর দুর্নীতি বিষয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বিষয়ে দুদক যা করেছে ঠিকই করেছে। দুদকের উচিত ছিল বিশ্বব্যাংককে তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করতে না দেওয়া। চলবে প্রতিষ্ঠানের আইন দ্বারা। কিন্তু দুদক তা বলতে পারেনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, বিশেষ অতিথি দুদকের অপর কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. নাসির উদ্দিন, সচিব মোখলেসুর রহমান খান ও দুদকের বিভিন্ন বিভাগের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *