ঢাকা:সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সংলাপের প্রয়োজন আপনারা বোধ করবেন। সরকার সংলাপে আসতে বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শুক্রবার দুপুরে আদর্শ নাগরিক দল আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন। বিএনপির শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার কোনো সুযোগ নেই—ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যে সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা কী দরখাস্ত করেছি? এ সব অবান্তর কথা কেন বলেন? তিনি ক্ষমতাসীন বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী মন্তব্য করে বলেন, বর্তমান সরকার সহজে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না। কিন্তু জনগণের আন্দোলন ও জোয়ারের মুখে তারা এটা করতে বাধ্য হবে।
মওদুদ আহমদ বলেন, আন্দোলনের মুখে যখন যে অবস্থার তৈরি হবে, তখন সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে। দেশের বর্তমান সমস্যার সমাধান সংলাপ হতেও পারে, আবার সংলাপ ছাড়াও সমস্যার সমাধান হতে পারে। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপরে।
মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করা হবে নিরর্থক প্রচেষ্টা। এতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। এগুলো হলেই নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসবে।
বিএনপির এই নেতা দেশের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘একদিকে থাকবে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে থাকবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের কাছে আমরা যেটা চাই, সেটা আদায় করে নিতে হবে।’
আদর্শ নাগরিক দলের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।