চুলকানির জ্বালায় মা-বাবাকে খুন করে যুবতীর আত্মহত্যা!‍

Slider বিচিত্র

212842_bangladesh_pratidin_suicide_news

প্রবল চুলকানি। শরীরে অসহ্য জালা পোড়া।
চামড়ায় লাল দাগ। সব মিলিয়ে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল যুবতীর। ডাক্তার দেখিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। শেষমেশ চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে। যুবতীর ধারণা, মা-বাবার থেকেই এই রোগ বাসা বেঁধেছে তার গায়ে। তাই প্রতিশোধ নিতে তাদের হত্যা করে আত্মহত্যা করে সেও।

বেশ কিছুদিন ধরেই চর্মরোগে ভুগছিলেন হংকংয়ের পাংচিং ইউ। গত সোমবার নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন ২৩ বছরের ওই যুবতী। রেখে যান একটি সুইসাইড নোট।

তুয়েন মুয়েন জেলার সহকারী পুলিশ প্রশাসক য়ান ফং য়াই জানান, সুইসাইড নোটে নিজের যন্ত্রণার কথা উল্লেখ করেছেন ওই যুবতী। শরীরে লাল দাগ ও চুলকানি নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়। এমনটাই লেখা ছিল সেখানে।

চীনা সংবাদ মমাধ্যম সূত্রে খবর, একই কামরায় মৃত যুবতীর মা-বাবার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের খুন করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রথম মা-বাবাকে হত্যা করে ওই যুবতী, তারপর বিষাক্ত গ্যাস সেবন করে আত্মহত্যা করে সে।

এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই একটি ব্লগ লিখে নিজের হতাশার কথা জানায় মৃত যুবতী। এই রোগ বংশানুক্রমিক। ফলে মা-বাবার শরীর থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ বলে দাবি করে সে।

ব্লগে ওই যুবতী লিখেন, চর্মরোগে ভোগা যুগলের সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত নয়। তারা সন্তানদের নরক যন্ত্রণার পথে ঠেলে দেন। এর থেকে ভালো একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া। নিজের উদ্যোগে দারিদ্র দূর করা যায় কিন্তু চুলকানি সারানো যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চর্মরোগের চিকিৎসায় এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যা অনেক সময় মানুষের বোধশক্তিকে দুর্বল করে তুলে। সাময়িকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হারায় রোগী। ফলে অনেক সময় অল্পেই উত্তেজিত হয়ে যায় ওষুধ সেবনকারী। মৃত যুবতীর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *