বিশ্বকাপের গ্যালারিতে উষ্ণতা ছড়ালেন ব্রিটিশ সুন্দরীরা

Slider খেলা

185852_bangladesh_pratidin_russia

বিশ্বকাপের ফুটবল যুদ্ধ দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে গ্যালারিতে। ফুটবলের টানে মাঠে উপস্থিত থাকেন নানা দেশের সুন্দরীরাও।

ফুটবলারদের গার্লফ্রেন্ড এবং স্ত্রীদেরও মাঠে দেখা যায় খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে শুরুর থেকেই বর্ণবিদ্বেষ এবং হুলিগানদের দৌরাত্ম্য নিয়ে ভয়ে ছিলেন অনেক ফুটবলার। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কয়েকজন ফুটবলার তো জানিয়েও দিয়েছিলেন নিজের স্ত্রী কিংবা গার্লফ্রেন্ডকে রাশিয়া নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। কিন্তু এত সব সত্ত্বেও ফুটবলের অমোঘ টান উপেক্ষা করতে পারলেন না ফার্ন হকিন্স, অ্যানাবেল পাইটনরা। মাঠে উপস্থিত থেকে এই ব্রিটিশ সুন্দরীরা উৎসাহ দিলেন ইংল্যান্ড দলকে।

মঙ্গলবার ভলগোগার্ড স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিউনিশিয়াকে ২-১ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। ম্যাচটি দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার জ্যাক বাটল্যান্ডের বাগদত্তা অ্যানাবেল পেইটন। ব্রিটিশ ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুইরের গার্লফ্রেন্ডকেও ভলগোগার্ডের স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে দেখা যায়। ইংল্যান্ডের আর এক তারকা ফুটবলার অ্যাশলে ইয়ং এর স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ড বনাম তিউনিশিয়া ম্যাচ দেখার জন্য।

রাশিয়াতে বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে ব্রিটিশ ফুটবলার অ্যাশলে ইংয়া-ই রাশিয়াতে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হওয়ার আসঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ম্যানইউ’র ফুটবলার জানিয়েছিলেন, আমরা যখন মাঠে থাকব, জানি না আমাদের প্রতিক্রিয়া কি হবে! আমরা এই বিষয়টা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। ওখানে নিজের পরিবারকে নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছি। আশা রাখছি ফিফা যে কোনও ধরনের বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যকে কঠোরভাবে সামলাবে।

তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল হুলিগানদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে তৈরি তারা। হয়তো রাশিয়ার কথাতে ভরসা পেয়েই গ্যালারিতে উষ্ণতা ছড়ালেন ব্রিটিশ সুন্দরীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *