সাতক্ষীরায় ঘুষের এক লাখ টাকাসহ অফিস সহকারী আটক

Slider গ্রাম বাংলা

213905_bangladesh_pratidin_Satkhira-Shahid-Arrest(1)

অভিযান চালিয়ে ঘুষের এক লাখ টাকাসহ সাতক্ষীরা জেলা পরিষদরে গোপনীয় শাখার অফিস সহকারী এ. কে. এম শাহিদুজ্জামানকে আটক করেছে দুদক। মঙ্গলবার সকালে জেলা পরিষদের অফিস কক্ষ থেকে তাকে টাকাসহ আটক করা হয়।

তবে শাহিদুজ্জামানের গ্রেফতারের ঘটনা সম্পূর্ন সাজানো নাকট ও পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদরে চেয়ারম্যান।
দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুসহ পরিষদের সকল সদস্য ও অফিস স্টাফরা এক সংবাদ সম্মেলন করে অফিস-সহকারী (ষাঁট লিপিকার) এ.কে.এম শাহিদুজ্জামান এক জন সৎ অফিসার বলে দাবি করেন। তারা বলেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় দুদকের পরিচালক ড. আবুল হাসান জানান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রকল্প ছাড়করণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদকের একটি টিম আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ওৎ পেতে বসে ছিলেন। এক পর্যায়ে সদর উপজেলার দেবনগর রোকেয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের বরাদ্দে টাকা বাড়ানোর জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসানের কাছ থেকে জেলা পরিষদের গোপনীয় শাখার অফিস-সহকারী ষাঁট লিপিকার শাহিদুজ্জামান একলাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে দুদকের একটি টিম তাকে হাতেনাতে আটক করে। তিনি আরো জানান, আটক শাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপার্দ করা হয়েছে।

জেলা পরিষদ ভাইসচেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবু জানান, দুদক দাবি করছেন তার কাছ থেকে ঘুষের একলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

অথচ দুদক আমাদেরকে কোন টাকাই দেখাতে পারেননি ঘটনা স্থলে। তিনি জানান, মিথ্যা হয়রানী করে আমাদের ষ্টাফকে আটক করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন শাহিদুজ্জামান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *