যমুনার চরে সূর্যমূখী ফুল চাষ

Slider জাতীয়

Sunflower_FO293_Main

সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চল সয়দাবাদ ইউনিয়নের চর-বয়ড়া গ্রামে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে সুর্য্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানী নর্দান কনজ্যুমার প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরামর্শে ১২জন কৃষক প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে সুর্য্যমুখী ফুলের চাষ করেছে। কিন্তু সঠিক সময়ে বীজ বপন না করা ও পরিচর্যার গাফিলতির কারণে আশাতীত ফলন পায়নি কৃষক। তবে কোম্পানী বলছে, ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া হবে যাতে আগামীতে সঠিকভাবে সুর্য্যমুখী চাষ করে কৃষক লাভবান হয়।

চরবয়ড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ আলী ও ইউসুব আলী জানান, চর এলাকার মাটি পরীক্ষার পর নর্দান কোম্পানীর কর্মকর্তারা চরবয়ড়া গ্রামের কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করে সুর্য্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী করে তোলেন। তাদের পরামর্শে কোম্পানীর সরবরাহ করা বীজ দিয়ে ১২ জন কৃষক প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে সুর্য্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়। গম-কালাইয়ের পরিবর্তে প্রথম পর্যায়ে সুর্য্যমুখী ফুলের ফলন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কোম্পানীর কর্মকর্তারা বলেছিল বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা খরচ হবে। আর ফলন হবে বিঘাপ্রতি ৮মন। বাজার দাম ১৫শত টাকা হলে ১২-১৩ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। কিন্ত ফুলের বিচি কাটার পর বিঘা প্রতি তিন থেকে চার মণ হয়েছে। এতে শুধু খরচ ওঠেছে। তারপরেও কোম্পানীর লোকজন বলেছে তাদেরকে পুষিয়ে দেয়া হবে।

তারা বলেন, কোম্পানীর পরামর্শ দিলেও পরিচর্যার ক্ষেত্রে নিজেদেরও গাফিলতির থাকায় কারণে কম ফলন হয়েছে ধারনা করছে। তবে আগামীতে কোম্পানটির পরামর্শ মেনে বেশী জমিতে চাষাবাদ করা হবে আশা প্রকাশ করেন কৃষকরা।

তবে কৃষকদের অভিযোগ কৃষি বিভাগ বেশ কয়েকবার সুর্য্যমুখী ক্ষেত দেখতে আসলেও তারা কোন সহযোগিতা করেনি।

সুর্য্যমুখী তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান কোম্পানীর রিচার্স ও ফিল্ড অফিসার (রিচার্জ) তানভীর আহমেদ জানান, সুর্য্যমুখী শীতকালীন ফসল। আর কৃষক ফলন হবে কি হবে না এমন দ্বিধাদ্বন্ধের কারণে দেরীতে রোপন করায় গরম মৌসুমে চলে যাওয়ায় তাপমাত্রার কারণে ফলন কম হয়েছে-তবে কৃষকদের লস হবে না। কৃষকরা যাতে আরো বেশী আগ্রহী হয় সে জন্য আগামীতে রোপন থেকে শুরু করে কখন, কি পরিচর্যা করতে হবে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে-যাতে কৃষকরা লাভবান হয়।

তিনি আরো জানান, এ বছর হাইসান-৩৩, হাইসান-৩৬ ও সুবর্ন তিনজাতের সুর্য্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ সুর্য্যমুখীর বিচি বাজারে ১২-১৫শত টাকা বেচাকেনা হচ্ছে। আমরা বাজার দরেই কৃষকদের কাছ থেকে বিচি কিনে নিবো। আর সুর্য্যমুখী বিচি দিয়ে তাদের কোম্পানী উৎকৃষ্টমানের ভোজ্যতেল তৈরী করবে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *