সাভারে কাউন্সিলরের লোকজনের সাথে ছাত্রলীগের সংর্ঘষ-গুলি, আহত ২০

Radio রাজনীতি

195042_bangladesh_pratidin_Songghorsho

সাভারে কাউন্সিলরের লোকজনের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের ২০ জন আহত হয়েছেন।

তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুর মহল্লার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ছাত্রলীগের পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল বাসস্ট্যান্ডা এলাকায় ইজারা নেওয়া কাচাঁবাজারে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবৎ স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে রবিবার বিকেলে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কাউন্সিলরের লোকজন মারধর করে। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে কাতলাপুরের আমতলা এলাকায় ছুটে যান ছাত্রলীগের অনান্য নেতাকর্মীরা। এসময় কাউন্সিলরের লোকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লক্ষ করে গুলি ছুড়লে তারাও হামলা চালায়। শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলরের দুই গ্রুপের মধ্যে রড-লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ”আমরা ছাত্রলীগের কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। কিন্তু আসিফ কেন উলাইল বাসস্ট্যান্ডে গেল সে বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা আহত সবার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করছি। ”

তবে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, উলাইলে বাজারে থেকে চাঁদা আদায়ের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগের টিপু সুলতান ও আসিফ গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই সংঘর্ষ শুরু হয়। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *