খুলনায় ১৪ কেন্দ্রে নৌকা ৯৩২৫, ধানের শীষ ৩৪৫৬

Slider ফটো গ্যালারি

318727_17

খুলনা: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৯৩২৫ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪৫৬ ভোট।

ইভিএমের প্রথম কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিএনপির জয়
ভোট গননার ২৪ মিনিটের মধ্যে খুলনায় ইভিএমের একটি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী- ধানের শীষ পেয়েছে ৫১১ ভোট ও নৌকা পেয়েছে ৫০৫ ভোট।

আজ নগরীর সোনাপোতা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআই এর জসিমউদ্দীন হোস্টেল কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়।

সিল মারা ব্যালট কেড়ে নিলেন মঞ্জু
জালভোট দেয়ার অভিযোগে খুলনা সিটি নির্বাচনের ৩টি কেন্দ্রে ও একটি বুথে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। জালভোট দেওয়ার পর খুলনা সিটি করপোরেশর ৩০ নং ওয়ার্ডে দুটি ভোট কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হলো রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

এর আগে একই ঘটনায় ২৪নং ওয়ার্ডের সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং ২২নং ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একটি বুথে ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়।

দুপুরের দিকে রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু দেখতে পান নৌকার সমর্থকরা জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করেছে। এ সময় তিনি ১০০ সিল মারা ব্যালট পেপার কেড়ে নেন। পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইবনুর রহমান সেখানে ভোট স্থগিত করেন।

সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোশাররফ হোসেন বলেন, অতর্কিত ১০ থেকে ১২ জন লোক রুমে প্রবেশ করে। তার আমার কাছে থাকা একশ’ ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নৌকায় সিল মারে। পরে সেটা বক্সে ভরে চলে যায়। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে হুমকি দেয়।

৩০ কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ মঞ্জুর
ভোট শুরুর প্রথম ঘন্টায় ৩০টি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

সকাল পৌনে ৯টায় রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান শেষে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মঞ্জু বলেন, এসব অভিযোগ জানাতে রিটার্নিং অফিসারকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তিনি বলেন, জনগন এ নির্বাচন চায়নি। এখনো সময় আছে। ২২ নম্বর, ২৯, ৩০, ৩১, ২৮,২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বহু কেন্দ্রে সরকারি দলের ক্যাডাররা দখল করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি তারপরেও শেষ পর্যন্ত থাকবো। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে মেন নেব। ভোট ডাকাতির নির্বাচন মেনে নেব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *