ওজন না কমার ৭ কারণ

লাইফস্টাইল

image_109350_0নিয়ম মেনে যোগা করছেন। খাওয়া-দাওয়াতেও প্রচণ্ড ছাঁট-কাট। তবু মেদ কমছে না? কোনো কিছুতেই ফাঁক নেই আপনার। কেবল কিছু ‘বেনিয়ম’ আপনার পথের কাঁটা। তার জন্যেই সবটাই পণ্ডশ্রমে পরিণত হচ্ছে। কী সেই ‘বেনিয়ম’?

১. পুষ্টিকর খাবার নিশ্চয়ই খাবেন। কিন্তু বাদাম, অ্যাভোকাডো, গমের পাউরুটি, অলিভ অয়েল জাতীয় খাবার একগাদা খেলে কিন্তু হীতে বিপরীত হতে পারে। মেদ ঝরানোর জন্য এই সব খাবার নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খান। যেমন, ১০০ গ্রামের গমের পাউরুটিতে ২৪৭ ক্যালোরি থাকে। তাই কখনোই একগাদা খাবেন না।

২. রোগা হওয়ার তাড়নায় নির্ঘাত সকালের জলখাবার বন্ধ করে দিয়েছেন! এই জন্যেই ওবেসিটির হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। কেননা, না খাওয়ার ফলে শরীরের মেটাবলিজমের হার কমে যাচ্ছে। ফলে ক্যালোরি খরচও কম হচ্ছে। নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করা এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ছিপছিপে থাকার একটা উপায়।

৩. ওজন কমানোর জন্য সুষম ডায়েট মেনে চলা খুবই প্রয়োজন। আর সুষম ডায়েটের প্রথম কথা হল, কোন খাবার কতটা খাবেন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা। তাই প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে আপনার শরীরের জন্য উপযোগী ডায়েট চার্ট করে ফেলুন। খাবারের পরিমাণ ঠিক রাখতে measuring spoon ব্যবহার করতে পারেন। সুষম খাদ্য তালিকায় ভারসাম্য তখনই আসবে যখন আপনার শারীরিক গঠন অনুযায়ী প্রোটিন তাতে থাকবে। তাই সব সময় নির্দিষ্ট মাপ মেনে খাবেন।

৪. অনেকে কাজের ফাঁকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবার খান। এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাড়াতাড়ি করে খেলে ঠিকমতো হজম হয় না। খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুন। আর আরাম করে বসে ধীরে-সুস্থে খান। এতে খাবার হজম হবে। ফ্যাট জমতে পারবে না।

৫. জানেন কি, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া স্থূলতার আরেক কারণ! দিনে কম করে ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঘুমের মধ্যেই শরীরে নতুন এনার্জি তৈরি হয়। যার সাহায্যে আপনি পরের দিন আবার কাজ করতে পারেন। ঘুমের অভাব থাকলে ক্লান্তির কারণে আপনি ঠিক করে ওয়ার্ক আউট করতে পারবেন না। এছাড়াও ঘুমের অভাব ঘটলে শরীর ‘খিদে’ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

৬. প্রচুর পরিমাণে লো-ফ্যাট খাবার খাওয়াও ওবেসিটি না কমার আরেকটি কারণ। এতে লো-ফ্যাট, লো-ক্যালরি থাকলেও রাসায়নিক উপকরণ থাকে। এই সব খাবারের পুষ্টিগুণ যেমন কম হয়, তেমনই সাধারণত এই সব খাবার অনেকটা খেয়ে ফেলার একটা প্রবণতা দেখা যায়। যা উপকারের বদলে অপকারই বেশি করে।

৭. শাকসবজির থেকে চিকেন-মাটন বেশি পছন্দ? আপনার পক্ষে ওজন কমানো একটু কঠিন। শাকসবজি এবং ফল বেশি পরিমাণে খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। তাই চট করে আবার খিদে পায় না। ওজন কমাতে দিনে অন্তত পাঁচ থেকে সাতবার ফল ও সবজি খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *