ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সাথে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অবরোধের ঘোষণাও এসেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।
ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই সেটিকে ‘অন্যায্য’ বলে বর্ণনা করে আসছেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি ওই চুক্তি সংশোধন ও পরিবর্তনের দাবি করে বলেছেন, তা না হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি থেকে সরিয়ে নেবেন।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিতে থাকুক। তাদের মতে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র বানানো ঠেকাতে এটিই সবচেয়ে ভালো উপায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই ট্রাম্প ইরানের সাথে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিকে বিপর্যয়কর এবং একপেশে বলে মন্তব্য করে আসছেন।
চুক্তিটি একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বাজে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। এ জন্য চুক্তিটি সংশোধন না হলে ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, এ চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল একটি সীমিত সময়ের জন্য সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ চুক্তিতে এমন কিছু নেই যার কারণে ইরানের সব ধরনের পারমাণবিক গবেষণা বন্ধ হবে কিংবা পেণাস্ত্র বানানোর কাজ ব্যাহত হবে। ফলে এ চুক্তি করে ইরানকে ব্যালিস্টিক পেণাস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখা যায়নি।
তা ছাড়া, চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞার খড়গ উঠে যাওয়ার কারণে ইরানের প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে। ইরান এ অঞ্চলে নতুন পরাশক্তি হয়ে উঠছে।
ইরান ওই চুক্তির সুযোগ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করেছে বলে মনে করেন ট্রাম্প। চুক্তিতে এককভাবে ইরানের স্বার্থ রা করা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। তাই ইরানকে সঠিক পথে আনতে চুক্তি থেকে সরে আসাই যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন ট্রাম্প।