চিঠির বিষয়ে ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে বৃটেন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

115290_letter

কূটনৈতিক রিপোর্টার: ভুলে ভরা হোম অফিসের কথিত চিঠি জনসমক্ষে প্রকাশে অস্বস্তিতে বৃটেন। কূটনৈতিক যোগাযোগ সংক্রান্ত গোপন নথি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক তৈরী হওয়ায় ব্রিটিশ সরকারের গভীর উদ্বেগ ও বিরক্তি রয়েছে। কূটনৈতিক সুত্র বলছে- বিষয়টি ব্রিটেনের তরফে গভিরভাবে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে । এ নিয়ে ঢাকার সঙ্গে বৃটিশ ফরেন অফিসের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগও হয়েছে। তারা বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছেন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বৃটেন ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে কি জানার চেষ্টা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৃটেনে অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য কখনও প্রকাশ করেনি বৃটিশ সরকার ।
কারণ তথ্য প্রকাশ না করার বৃটেনের সর্বজনীন নীতি রয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমা এক কূটনীতিক বলেন, বৃটেন তথা পশ্চিমা দেশগুলো ব্যক্তির তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে বেশ সচেতন। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তাবিষয়ক বৃটিশ আইন এখনো ব্যক্তি তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে ‘লিগ্যাল স্ট্যাটাস’ (আইনি অবস্থান) প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা। কিন্তু পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের মুখে এক পক্ষ তারেক রহমানের পাসপোর্টের অনুলিপি, তথ্য ও চিঠি সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিয়েছে। আরেক পক্ষ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুললেও স্বীকার করে নিয়েছে যে তারেক রহমান বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। এ অবস্থায় রাজনৈতিক বিতর্ক ও পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের মধ্যে দুই পক্ষই ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। চিঠির ব্যাখ্যা বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তরই দিতে পারে। ওই ব্যাখ্যা দেওয়ার অর্থ হবে তা স্বীকার বা অস্বীকার করা। দুটির কোনোটিই হয়তো বৃটিশ সরকার বা হাই কমিশন করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *