ভারত কি কখনো আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে: কাদের

Slider রাজনীতি

313658_111

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনো ক্ষমতায় বসিয়েছে? ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? ভারত এটা করে না। ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে তারা আমাদের কোন বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। কোনো বিদেশি শক্তি নয়।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ভারত সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। ডিনার পার্টিতে ভারতের অনেকেই বলেছেন, আমরা আগামীতেও ক্ষমতায় আসবো।

তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মোদি একটি শব্দও বলেননি। তিনি আরো বলেন, আমরা ভারত সফরে গেছি। ভারত সরকার আমাদের অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। প্রায় বত্রিশ মিনিট তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি কথা বলেছেন, আমাদের কথা মন্ত্র মুগ্ধের মতো শুনেছেন। আমরা দেশের জন্য জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সফরে তিস্তাচুক্তি থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু, কোনও কিছুই বাদ পড়েনি। দেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, তিস্তাচুক্তি হলে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট সম্পর্কে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির একেক নেতা একেক কথা বলছেন। খাদের কিনারে এসে লাফালাফি করছেন। এখন বলছেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এতদিন স্বীকার করেননি। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। বিএনপিকে আগে বলেছি প্যাথোলজিক্যাল লায়ার, এখন বলছি পূর্ণ মিথ্যাবাদী।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুল কি চিকিৎসক? চিকিৎসকরা বলুক। কিভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনিত হয়েছে। কদিন আগে আমরা তাকে স্বাভাবিক দেখেছি। দৃশ্যত কোনো অবনতি দেখিনি। ভেতরে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে মেডিক্যাল বোর্ড দেখে বলুক। সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে এলাকার নির্বাচন, সে এলাকার যারা ঢাকায় রয়েছেন, কেবল তারাই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। অযথা ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বিরক্ত করবেন না।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *