হলফনামায় তথ্য গোপন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে–গাজীপুরে নির্বাচন কমিশনার

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

de846d4815a8305f7fc72e3a04a2d887-5adc61a307aa7

গাজীপুর: গাজীপুরে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেছেন, হলফনামায় তথ্য গোপন করলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হেসেন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হলফনামায় তথ্য গোপন করলে এবং সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর হলফনামায় তথ্য গোপনের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নেই বলে তিনি জানান।

গতকাল রোববার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমন্বয় কমিটির সভার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শাহাদাত হেসেন চৌধুরী। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) খ ম কবিরুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, জেলা আনসার কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম, র‌্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার আবদুস সালাম প্রমুখ।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দেশের প্রতিটি নির্বাচন, সেটা ছোট হোক বড় হোক, যেন আইনানুগভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। বিগত দিনে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন হয়েছে আমরা শপথ গ্রহণ করার পরেই। সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সর্বশেষ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

শাহাদাত বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও রংপুর সিটি নির্বাচনের চেয়ে যদি ভালো না-ও হয়, অন্তত তার চেয়ে খারাপ হবে না। এটা আমরা দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি। গাজীপুর সিটি নির্বাচন আইনানুগ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়—এটা আমাদের প্রত্যাশা। এ জন্য গাজীপুরবাসী তাকিয়ে আছে।’

নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার। শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে আমরা সমন্বয় কমিটি গঠন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ করছে। ২৪ এপ্রিল থেকে আরও ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যুক্ত হবেন। ১৩ মে ভোটের দুই দিন আগে থেকে আরও ৩৮ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৯টি দল নির্বাচনী এলাকায় কাজ করবে।’

শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের ব্যবহার সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘খুব সম্ভবত আমরা একটা বা দুটি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আর সীমিতসংখ্যক কেন্দ্রকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ইচ্ছে রয়েছে। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন, ২৩ এপ্রিল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ। গাজীপুর সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এতে পুরুষ ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *