সম্পর্কে দুজনে মামা ভাগ্নি। কিন্তু এসব সম্পর্কের দোহাই মানেনি প্রেম। জড়িয়ে পড়েছিলেন দুজনেই। কিন্তু পরিবার থেকে মেনে না নেয়ায় চুড়ান্ত পরিণতিই হল এই যুগলের। আত্মহত্যা করেন দুজনেই।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের লাভপুর থানার চৌহাট্টার ভগবতীপুর গ্রামে। জানা যাচ্ছে, ভগবতীপুর গ্রামের বাগদি পাড়ার বাসিন্দা লালন বাগদি(২২) গ্রামের একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করতেন। সম্পর্কিত ভাগ্নি রীতা বাগদি (১৬) এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। সেও বাগদি পাড়াতেই
থাকত। দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল গোপন প্রণয়ের সম্পর্ক। অনেক দিন এমনটা চলার পর দুজনেই বাড়িতে জানিয়ে দেন তারা বিয়ে করতে চান। এরপরই শুরু হয় টানাপোড়ন। দুই পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে নারাজ। ক্রমেই অবস্থা হতে থাকে খারাপ।
রবিবার বিকাল থেকে লালন এবং রীতা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। গ্রামের লোকজন এবং দুই পরিবারের ধারণা ছিল, হয়তো দু’জনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে।
অবশেষে সোমবার সকালে প্রকাশ্যে এল মামা-ভাগ্নির ভয়ঙ্কর পরিণতি। গ্রামের বাইরে একটি আমগাছে দু’জনকে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় ঝুলতে দেখেন গ্রামবাসীরা। লাভপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
লালনের বাবা মানিক বাগদি বলেন, ‘‘রীতা ও লালনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, আমরা বেশ কিছু দিন আগে জানতে পারি। এর মধ্যে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। ’’
অন্যদিকে রীতার বাবা অনিল বাগদি বলেন, ‘‘রবিবার বিকেল থেকে দু’জনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভেবে ছিলাম কোথাও গিয়েছে, চলে আসবে। এই ভাবে আত্মহত্যা করবে ভাবতে পারিনি। ’’