আনারসের দশটি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!

Slider লাইফস্টাইল

pinapple
বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফল হচ্ছে আনারস। আমরা প্রায় সবাই কমবেশি আনারস খেতে পছন্দ করি। তাছাড়া এই ফলটি আমাদের দেশে প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। আনারাসে আছে নানা রকমের ভিটামিন ও অনেক সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন কাজে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সুস্বাদু এই আনারসের বেশ কিছু খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। আসুন জেনে নেই বিষয় গুলো।

(১) গর্ভপাত ঝুঁকি:
আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে। এই কারণে গর্ভাবস্থায় থাকলে মহিলাদের আনারস খেতে নিষেধ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

(২) অ্যালার্জীর আক্রমণ:
আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হলে ঠোঁট ফুলে যায় ও গলায় সুরসুরি বোধ হয়। তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।

(৩) বাতের ব্যথা ঝুঁকি:
আপনি যখন আনারস খাবেন তখন এটি আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালীর কাছে পৌঁছানোর পর এটি অ্যালকোহলে পরিণত হয়। এবং এই কারণে মানুষের দেহে বাতের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই যাদের শরীরে বাতের ব্যথা আছে কিংবা সন্দেহ করা হয় বাত হতে পারে তাদের আনারস না খাওয়া ভালো।

(৪) রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায়:
আনারসে থাকে বেশি পরিমাণে চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু দেহের ক্ষতি, এটি খাওয়ার উপর নির্ভর করে। এবং আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।

(৫) ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
আনারসে থাকে ব্রমিলেইন যেটি দিয়ে ঔষধ তৈরি হয়ে থাকে এবং কোনো রোগীর প্রয়োজন পড়লে তাকে তা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

(৬) কাঁচা আনারসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
অনেকে মানুষ কাঁচা আনারস ব্যবহার করেন জুস তৈরির জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিষাক্ত। এবং মাঝে মাঝে কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবনতা দেখা দিতে পারে।

(৭) রক্ত তরলিকরণ ওষুধ:
রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

(৮) আনারসের ব্রমিলেইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
ব্রমিলেইন আনারসের একটি উপাদান যা আমদের দেহের প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট করাতে দায়ী থাকে। এবং এই ফল দেহে ডার্মাটাইটিস ও অ্যালার্জী সংক্রামন করে।

(৯) দাঁতের জন্য ক্ষতিকর:
আনারস আমাদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। যাদের দাতে কেভিটিস ও জিংজাইভেটিভস এর সমস্যা আছে তাদের আনারস না খাওয়াই ভালো।

(১০) মুখ ও গলার জন্য ক্ষতিকর:
কাঁচা আনারসে থাকে বেশি পরিমাণে এসিডিটি যা আমদের মুখের ভিতর ও গলায় শ্লেষ্মা তৈরি করে। এবং ফলটি খাওয়ার পর মাঝে মাঝে অনেকের পেটে ব্যথারও সম্ভবনা থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *