স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর: কালই শেষ হচ্ছে গাসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এরই মধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ করেছেন। এখন শুধু জমা দেয়ার অপেক্ষায়। আর দলগুলোও মনোনয়ন দেয়া শেষ করেছে। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থীরা আভ্যন্তরীন বিরোধও মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন। তবে কে কতটুকু কোন্দল নিরসন করতে পারবেন তাই দেখার বিষয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৭/৯৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে আগমন ঘটে হাসান উদ্দিন সরকারের। ২০০১ সালে অধ্যাপক এম এ মান্নান ধানের শীষ পায় নি। ওই সময় পেয়েছিলেন হাসান উদ্দিন সরকার। টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বিক্রির অভিযোগ করে অধ্যাপক এম এ মান্নান স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। কিন্তু হাসান সরকার ও মান্নান দুই জনই পরাজিত হন। সেই থেকে মান্নান-হাসান দ্বন্ধ আরো তীব্র হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসান ও মান্নান পৃথক দুই আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০১৩ সালে অধ্যাপক এম এ মান্নান মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে হাসান গ্রুপ মান্নানের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করলেও গোপনে বিরোধীতা করেছেন বলে কর্মীদের অভিযোগ রয়েছে। তাই এবারের মেয়র নির্বাচনে মান্নান গ্রুপ হাসান সরকারকে কতটুকু মনে প্রানে গ্রহন করে মাঠে কাজ করবেন সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
দলীয় নেতারা বলছেন, এবার মান্নান-হাসান এক হয়ে গেছেন। যদি তাই হয়, তবে ভাল ফলাফল আশা করতে পারবে বিএনপি। আর যদি চিরায়ত কোন্দল গোপনে অব্যাহত থাকে, তবে ধানের শীষকে পানিতে ডুবে যেতে হবে এতেও কোন সন্দেহ নেই বলে ভোটাররা মনে করেন।