গাসিক নির্বাচন ভাবনা-১৫: টাকা বোঝাই নৌকার শুভযাত্রা ‍

Slider গ্রাম বাংলা টপ নিউজ সারাদেশ

30442934_2062151730710784_8378109970352177152_n

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর: অবশেষে নৌকা প্রতীক পেলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। অনেকটাই টাকার কাছে হার মেনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেন আজমত উল্লাহ খান। ২০১৩ সালে জাহাঙ্গীর আলমকে কাঁদিয়ে তিনি মনোনয়ন পেয়েও বিজয়ী হতে পারেন নি। অতীত অভিজ্ঞতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এবার স্বদলীয় কোন্দল অফিসিয়ালী নিরসন করার মাধমে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর আলমের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর থেকে নরগবাসী সেবা করছেন সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে। কোটি কোটি টাকা বললেও ভুল হবে, কারণ সঠিক অংকে জানা সম্ভব হয় নাই যে, জাহাঙ্গীর আলম এই দীর্ঘ সময়ে কত টাকা খরচ করেছেন। সুতরাং সাধারণ ভোটারই শুধু নয়, খোাঁদ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, টাকা দিয়ে নৌকা বোঝাই করে শুরু হল গাসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের শুভযাত্রা।

অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ৪ বছর ধরে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগরে জনসেবা করে আসছেন। জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন করে মহানগরের গরীব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করছেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে। একই সঙ্গে সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে যানজট নিরসনে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া মহানগরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে অনুদান দিয়ে তিনি দানবীর উপাধী নিতে যাচ্ছেন যে কোন সময়। আওয়ামীলীগের রাজনীতির পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। গাজীপুরে অসংখ্য বড় বড় অনুষ্ঠানে বড় বড় অংকের অনুদান দিচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ, রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সমাবেশ সহ অনেক বড় বড় অনুষ্ঠান তিনি করছেন নিজ অর্থায়নে। সব মিলিয়ে তিনি অনেক টাকা খরচ করেন বলে সকল মহল অবহিত।

এ বারের নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়ন পাবেন বলে আগে থেকেই সম্ভাবনা বিরাজ করছিল। কারণ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অনেক বড় বড় নেতার সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক কারণেই। এমনকি রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা আছে এমনটাও মনে করেন অনেকে।

জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগরের জনহিতকর কাজ ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদেরও সহযোগিতা করেছেন দলীয় নির্দেশে। এই সব কারণে জাহাঙ্গীরকে মানুষ টাকা খনি মনে করেন। আর তার এই সক্ষমতার জন্যই তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন বলে ভোটাররা মনে করছেন। তবে এখন প্রশ্ন হল, দলের আভ্যন্তরীন কোন্দল কতটুকু নিরসন হয়েছে তার উপর নির্ভর করছে জাহাঙ্গীরের ভবিষৎ। আর এই ভবিষৎ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলে, ১৫ মে পর্যন্ত অপেক্ষার সময় নির্ধারিত, বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *