আমরা কমবেশি সবাই ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জানি। ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। ডিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে এবং ক্যালোরি খুব কম। তাই এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২টি করে ডিম খাওয়া উচিত একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের। আর সারাদিন শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সেদ্ধ ডিমের কোনো জুড়ি নেই।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন সকালের নাস্তায় সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা।
১) শক্তি যোগায় :
প্রায় ৮০ ক্যালোরীপ্রায় ৮০ ক্যালোরী থাকে একটি বড় সেদ্ধ ডিমে। আর এর মধ্যে ৬০% ক্যালোরী আসে চর্বি থেকে। তাই সারাদিন শক্তি পেতে এবং দুর্বলতা হ্রাস করতে সকালের নাস্তায় একটি মাত্র সেদ্ধ খান।
২) হাড় গঠন :
ডিমে বিদ্যমান ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁত শক্ত করে। খাবার থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ এবং রক্তের ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন ডি। আর এর ফলে শরীরের হাড়ের কাঠামো মজবুত ও শক্ত হয় এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। ৪৫ আন্তর্জাতিক ইউনিট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে। আর এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৩) প্রোটিন :
প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে সেদ্ধ ডিমে। তাই ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায় সকাল বেলা নাস্তায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে।
৪) চোখের স্বাস্থ্য :
ভিটামিন এ ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান। রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায় ভিটামিন এ। ৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন৭৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন পাওয়া যায় প্রতিদিন সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খেলে।
৫) দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে :
ডিম আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। আমাদের দেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে ডিম, এমনটাই দেখা গেছে এক গবেষণায়। তাই প্রতিদিন সকালে একটি করে সেদ্ধ ডিম খান।
৬) মস্তিষ্কের জন্য উপকারি :
ডিমে বিদ্যমান কলিন নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ডিম। এছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকা ফলেট উপাদান আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে স্নায়ু কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে।
৭) নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত কর :
ডিমে বিদ্যমান সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে ও আকর্ষণীয় করে তুলে। এছাড়াও দেহের নখ ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহযোগীতা করে ডিমের অন্যান্য খনিজ পদার্থ সেলেনিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক।