সোহরাওয়ার্দীর জনসভা স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

Slider রাজনীতি

110877_87

 

ঢাকা: খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্বঘোষিত বৃহস্পতিবারের জনসভাটি স্থগিত করেছে বিএনপি। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় কর্মসূচিটি স্থগিত করেছে দলটি। একই দাবিতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিসহ তিনটি বিভাগীয় শহরে জনসভার তারিখ ঘোষণা করেছে।
আগামী ১লা এপ্রিল সারা দেশে লিফলেট বিতরণ ও ৩রা এপ্রিল প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ৪ঠা এপ্রিল রাজশাহী, ৭ই এপ্রিল বরিশাল ও ১০ই এপ্রিল সিলেটের জনসভাটি অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এসব ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ধারাবাহিকভাবে কয়েক দফায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবস্থান, গণঅনশন, কালোপতাকা প্রদর্শন, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও লিফলেট বিলি করেছে বিএনপি। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে ১২ই মার্চ ও দ্বিতীয়বার ১৯শে মার্চ ও সর্বশেষ ২৯শে মার্চ জনসভা করতে পুলিশের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের নির্দেশে নিরাপত্তার অজুহাতে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। তিনি বলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর আমরা বিশ^াস করতে চেয়েছিলাম সরকার জনসভার অনুমতি দেবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের বলেছেনÑ ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসভার অনুমতি দেবে পুলিশ।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলেই দেশটা এখন পুলিশের কব্জায়। রিজভী বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করলে আমরা অনুমতি পাইনি। বিএনপির মতো একটি সর্ববৃহৎ দলকে শান্তিপূর্ণ সমাবশের অনুমতি না দেয়া স্বৈরাচারি আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। আমাদের সমাবেশ নিয়ে সরকার ‘ফোবিয়ায়’ ভুগছে বলেই অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। অথচ ২৪শে মার্চ গণতন্ত্র হত্যার দিনে সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় গণতন্ত্রকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হলো। এছাড়াও সম্প্রতি আওয়ামী জোটের ছোট ছোট আরো অনেক দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী এ দুুঃসময়ে শুধু বিপন্ন গণতন্ত্রের দীর্ঘশ্বাসই শুনতে পাওয়া যায়। দখল ও দুর্নীতির অন্তঃক্রিয়া আওয়ামী সংস্কৃতির ধারক। সেজন্যই আধিপত্য-অভিলাষী সরকার গণতন্ত্রকে ‘ফসিলে’ পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারের যে স্বীকৃতি পেয়েছে সেটি অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হলো। এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবারের জনসভার কর্মসূচি আপাতত: স্থগিত করা হলো। সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *