গাজীপুরে আসছেন রাষ্ট্রপতি

Slider বাংলার সুখবর

 

29342196_2051220328470591_8540997970852577280_n

 

 

 

 

 

 
আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টার: মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে বীর ও শহীদদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আগামীকাল যোগ দিতে গাজীপুরে আসছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি আগামীকাল সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টায় গাজীপুর জেলা শহরে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। গাজীপুরের এনডিসি বি এম কুদরত-এ- খুদা জানান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন ১৯ মার্চ। ওইদিন প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়ে কয়েকজন শহীদ হন। এতে আহত হন আরও কয়েকজন। ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর ও শহীদদের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গাজীপুরে যাবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ওইদিন রাতে গাজীপুর সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করবেন। পরের দিন মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকালে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর করাগারে কারা সপ্তাহ-২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

এদিকে দু’দিনের সফরে গাজীপুরে আসবেন এই উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ শনিবারে মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি,জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ডা. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, গাজীপুর পুলিশ সুপার মো.হারুন অর রশিদ (পিপিএম) বার,গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট আজমতুউল্লাহ খান,গাজীপুর জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ সহ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.আব্দুল হামিদ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে দু’দিনের সফর বিষয়ে কুশলবিনিময় হয় ও সফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই গাজীপুরের সংগ্রামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করে।

ওইদিন পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে গাজীপুরের মনু খলিফা ও কিশোর নেয়ামত মারা যান। আহত হন ডা. উসুফ, সন্তোষ কুমার, শাহজাহানসহ অনেকে। ১৯ মার্চের বীরত্বকে অমর করে রাখতে ১৯৭২-১৯৭৩ সালে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয় যার নাম জাগ্রত চৌরঙ্গী এবং এটি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *