চলছে জাতীয় মোবাইল হ্যাকাথন

জাতীয়

image_109193_0শুরু হলো সড়ক, নৌ-দুর্ঘটনা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যার সমাধান মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘উদ্ভাবনী’ সমাধান খুঁজে বের করার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা জাতীয় মোবাইল হ্যাকাথন। প্রতিযোগিতায় এক হাজার ৬৭৫ প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপনির্মাতা ২৮৮টি টিমে বিভক্ত হয়ে ১০টি ক্যাটাগরিতে নাগরিক বান্ধব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছেন। পাঁচ সদস্যের কোডার ও ডিজাইনারের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিকায় অংশ নিয়েছে ২১টি পেশাদার কোম্পানি।

‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি’ -এর আওতায় দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ বিষয়ক কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও থাকবেন এই সম্মেলনে।

শনিবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবি’র সিইও সুপুন বীরা সিংহে এবং আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার।

আয়োজনের উদ্বোধন শেষে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি শুরু হয় ‘রূপকল্প ২০২১’ কর্মশালা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউটের প্রথম থেকে তৃতীয় তলায় চলছে এই আয়োজন। আয়োজনে বিনামূল্যে সিম সরবরাহ করছে রবি আজিয়েটা। একই সঙ্গে বিডি অ্যাপস নামে নতুন একটি অ্যপ্লিকেশন প্লাটফর্ম চালু করেছে জ্বলে ওঠার প্রত্যয় দীপ্ত এই অপারেটরটি।

দর্শনার্থীদের নানা রকম উপহার দিচ্ছে টেক অনলাইন হাই-ফাই পাবলিক ডটকম। একইসঙ্গে ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে অনস্পট সাক্ষাৎকার নিচ্ছে নতুন ধারার এই প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমটি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় বাস্তবায়নে রয়েছে এমসিসি লিমিটেড। সহযোগিতায় রয়েছে ইএটিএল, বেসিস, সিম্ফোনি, গ্রামীণফোন, রবি, সোলকোয়েস্ট, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ, বেটার স্টোরিজ ও বিডি ভেঞ্চার।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা বিরতিহীনভাবে ৩৬ ঘন্টাব্যাপী কোডিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) করছেন। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন গ্রুপে কাজ করবেন। ৩০ জন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রতিযোগিতার মূল্যায়নের দায়িত্বে রয়েছেন।

রবিবার বিকেলে সমাপনী পর্বে চূড়ান্ত পর্বের সমাধান প্রদর্শনী ও বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে।

বিজয়ী ১০ জন পাবেন পুরস্কার। তাদের প্রকল্পগুলো পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সহযোগিতা করবে। এজন্য সেরা সমাধানদাতারা পাবেন ২০ লাখ টাকার ইনোভেশন ফান্ড।

এছাড়া বিডি ভেঞ্চারের সৌজন্যে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এছাড়া মাইক্রোসফট মোবাইল, সিম্ফোনি, রবি এবং গ্রামীণফেনের পক্ষ থেকেও নানা পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *