গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, রহস্য কাটছে না

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

35db578a21030db9cb7c9a3ff7a1f863-mymensing

ময়মনসিংহ:  জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আশফাক আল রাফি ওরফে শাওন (২৫) গুলিবিদ্ধের ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত দুইটার দিকে রহস্যজনকভাবে আশফাক গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আশফাকের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। কীভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন, ১১ দিন পরও পুলিশ কিছু বলছে না এবং এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটকও হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশফাক আল রাফির বাবা এম এম কুদ্দুস ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গুলিবিদ্ধের এক দিন পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আশফাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসক আশফাককে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত দুইটার দিকে ময়মনসিংহ শহরের কাচারি সড়ক থেকে পথচারীরা আশফাককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর তলপেট গুলিবিদ্ধ ছিল। ঘটনার সময় আশফাকের সঙ্গে কারা ছিলেন, তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন—এসব বিষয় নিয়ে পরিবার ও পুলিশ মুখ খুলছে না।

একটি সূত্র বলছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে আশফাক কাচারি সড়কে অবস্থিত ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের কার্যালয়ের সামনে কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আশফাকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার মৃত্যুর খবর জানাজানির পর জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেন। তবে কেউ আশফাকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানাননি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় ছাত্রলীগ থেকে কোনো কর্মসূচিও পালন করা হয়নি।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, এখনই কিছু বলা যাবে না।

নিহত আশফাকের বাবা এম এ কুদ্দুসের মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *