সাতজনকেই গ্রেপ্তার করেছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতরা নিজেদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বলে দাবি করেছেন। তবে ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি পোস্টারে রেডিক্যাল বলে একটি সংস্থার নাম উল্লেখ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার প্রতিক্রিয়া দেখাতেই শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকার দ্রুত মূর্তিটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছে। সেই মত মূর্তি সংস্কারের কাজ দুপুরেই শুরু হয়েছে। আপাতত উদ্যানটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টিও মূর্তি ভাঙার নিন্দা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এ ধরনের তান্ডব কোনো মতেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মূর্তি ভাঙার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মালা রায়। ঘটনার নিন্দা করেছেন। শোভনদেব বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের এটা সংস্কৃতি হতে পারে না। লেনিনের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙব, এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। এই ধরনের অপপ্রয়াস রুখে দেব। এই ঘটনার পর বিজেপি কর্মীরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের বাধা দিলে শুরু হয় ব্যাপক মারপিঠ। অল্প সময়েই অবশ্য টালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে গত মঙ্গলবারই বাঁকুড়ার পাত্র সায়রে এক জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় লেনিনের মূতি ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মূর্তি ভাঙা গণতন্ত্রে নির্বাচিত দলের কাজ নয়। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ক্ষমতায় এসেছেন বলে যদি মনে করেন, মার্কস, লেনিন, নেতাজির মূর্তি ভাঙবেন তবে তা আমরা মেনে নেব না।