এ নিয়ে চুক্তির কথাও শোণা যায়। কিন্তু এমন কোনো চুক্তির কথা বেমালুম অস্বীকার করেছেন স্টর্মি ডানিয়েলস। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিএনএন। এতে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কোর্টে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার স্টর্মি ডানিয়েলসের আইনজীবী এক টুইটে বলেছেন, দাবি করা হচ্ছে স্টর্মি ডানিয়েলসের সঙ্গে মুখ বন্ধ রাখার যে চুক্তি হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিবর্তে স্বাক্ষর করেছেন তার ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন। মামলায় স্টর্মি ডানিয়েলস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বেশ আগে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের। অবশেষে ট্রাম্প যখন রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার লড়াই শুরু করলেন এবং বহু নারী তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে সামনে এলেন, তখন তার মুখ বন্ধ করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। ডনাল্ট ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি স্টর্মি ডানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ‘হাশ এগ্রিমেন্ট’ বা মুখ বন্ধ রাখা বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প। এ সময় স্টর্মি ডানিয়েলসের আইনজীবীর মাধ্যমে তার একাউন্টে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার জমা দেয়ার প্রক্রিয়া নেন মাইকেল কোহেন। আইনগত কোনো চুক্তি না থাকলেও তিনি এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেন এবং অর্থ পরিশোধ করেন। ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশে কোনো বাধা নেই স্টর্মি ডানিয়েলসের। মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৭ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্টর্মি ডানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন মাইকেল কোহেন। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ডানিয়েলসকে অর্থ শোধ করতে একটি বেসরকারি এলএলসি খোলেন মাইকেল কোহেন। এ রিপোর্ট জানুয়ারিতে করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তারপর পটোম্যাক দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। অনেক কথা প্রকাশ হয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক রিপোর্ট হয়েছে। অনেকবার দেখা গেছে সরকারি সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার স্ত্রী ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের হাত স্পর্শ করার চেষ্টা করছেন। আর মেলানিয়া দ্রুততার সঙ্গে তার হাত সরিয়ে নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে অনেক রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। বিশেষ করে, স্টর্মি ডানিয়েলসের সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্কের কথা প্রকাশ হওয়ার পর তা আরো তীব্র হয়েছে। ওদিকে গত মাসে স্টর্মি ক্লিফোর্ডকে অর্থ পরিশোধের কথা স্বীকার করেছেন মাইকেল কলিন। তিনি এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, মিসেস ডানিয়েলসকে যে অর্থ দেয়া হয়েছে তার সঙ্গে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন বা ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির জড়িত নয়। আমাকে এ অর্থ পরিশোধে প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে চাপও দেয়া হয় নি।