অনুষ্ঠানে বাবার কথা স্মরণ করে নাসিম বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার কাছে বেদনার এবং গর্বের। বেদনার এ কারণে যে আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আর গর্ব এ কারণে যে আমার বাবা জীবন দিয়েছেন, তবুও মোশতাকের মতো বেইমানি করেননি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এ ধরনের বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সংসদের রীতিনীতি, আচরণবিধি সম্পর্কেও জানতে সহায়তা করবে এ ধরনের বই। যাঁরা ভবিষ্যতে সংসদ সদস্য হতে চান কিংবা সংসদের নিয়মনীতি সম্পর্কে জানতে চান, তাঁদের জন্য বইটি ভূমিকা রাখবে। এ সময় বইটির সম্পাদনা পরিষদ, সম্পাদক এবং প্রকাশককে বইটি প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের জন্য জটিল করতে চেয়েছিলেন। তিনি করেছেনও তাই। এ জন্য দেশে প্রকৃত রাজনীতিবিদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা বজায় রাখতে হবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক পদ্ধতি চালু থাকলে এভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতে থাকে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা চালু রাখতে এ ধরনের বই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আজকের এ অবস্থায় এসেছি, তা যেন নতুন প্রজন্মের দেখতে না হয়। দেশে স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু হোক।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নূরুল ইসলাম প্রমুখ।