গোলাপে মমতাকে স্বাগত জানালেন ছিট মহলের বাসিন্দারা

সারাবিশ্ব

image_158866.momotaসীমান্ত সুরক্ষা ও পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঠিক ক্ষতিপূরণ ও খরচের দায়িত্ব দিল্লি নিলে ছিটমহল বিনিময়ে যে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সংসদে ছিটমহল বিল পাস হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে কোনও মুখ্যমন্ত্রী ছিটমহল গিয়ে ছিটমহলবাসীর কথা শুনেছেন, এমন ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, বৃহস্পতিবার পা রাখছেন ছিটমহলে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কথা শুনতে আসায় অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন ছিটমহলবাসী। ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ১৬২টি গোলাপের তোড়া তুলে দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাতে তৈরি ছিটমহলবাসী।

১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে ১১১টি ছিটমহল রয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। ভারতে রয়েছে ৫১টি। কিন্তু আয়তনের দিক থেকে ভারতের ছিটমহলগুলি অনেক বড়। এই সব ছিটমহল বিনিময়ের বিষয়েও কথাবার্তা চলছে। এতদিন পর্যন্ত অবহেলাই সঙ্গী ছিল ছিটমহলবাসীর। কোনও মুখ্যমন্ত্রী আসেননি তাঁদের কথা শুনতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কথা শুনতে আসায় স্বাভাবিকভাবেই উন্মাদনা তাঁদের মধ্যে। এর আগে কেউ ছিটমহলবাসীর জন্য ভাবেননি। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেননি। তাঁদের জন্য ব্যবস্হা করেননি। ভাবেননি তাঁদের ক্ষতিপূরণের কথাও। এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ছিটমহলবাসীর কাছে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের কথা শুনবেন। মুখ্যমন্ত্রী এমন উদ্যোগ নেওয়ায় গর্বিত ছিটমহলবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাচেছন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব, পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ জেলার নেতারা। কার্যত গোটা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েই ছিটমহলবাসীর কাছে হাজির হয়ে যাচেছন মুখ্যমন্ত্রী।

কোচবিহারের দিনহাটা ব্লকের নয়ারহাট গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা। যেখান থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব মাত্র ৫০ঙ্ম মিটার। বাংলাদেশের লালমণিহাট জেলার করলা ছিটমহল সামনেই। সেখানকার মানুষও কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনবেন বলে। যদিও অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আওয়াজ পৌঁছে যাবে বাংলাদেশে থাকা ছিটমহলবাসীর কানেও। বহু ছিটমহলবাসী কোচবিহারে এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনবেন বলে। তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্হা করেছে জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকার তাঁদের অতিথি বলেই মনে করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *