ঢাকায় আর নতুন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা উপলক্ষে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ অষ্টম বৃহত্তর একটি দেশ। দিন দিন জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। আগামী ২০৬০ সালের মধ্যে প্রায় ২৮ কোটি জনসংখ্যায় পরিণত হবে দেশ।’
কালাম বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকা শহরে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ বাস করে। ঢাকায় আর নতুন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। তাই আমরা শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামে বসেই শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। আমাদের গ্রামগুলো হবে পরিকল্পনা মাফিক, যাতে কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ানো যায়।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে যেসব অনিয়ম হচ্ছে এর জন্য শুধু সরকারই দায়ি নয়, বাজারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তারাও সমানভাবে দায়ি।’
মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়া এক প্রতিবন্ধীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আলাদা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রতিবন্ধীরা হাটে-বাজারে যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা করবো। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা টয়লেটও তৈরি করা হবে। তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।’
জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন বরাদ্দ দেয়া যায় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সংসদের প্রতিবন্ধীদের জন্য আসন দেয়া যায় কি-না এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বলতে পারবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের চেম্বারগুলোকে কাজে লাগিয়ে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে।’ ঢাকা শহরের নারীদের জন্য আলাদা বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও মন্ত্রী জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সুরাইয়া বেগম প্রমুখ।