তুরাগ উত্তরায় শত শত ভুয়া সাংবাদিকের দাপটে কোণঠাসা প্রকৃত সাংবাদিকরা

Slider ঢাকা
056a2290-b2d4-11e6-b17d-d6b2ebc6f34a_1280x720
প্রতিকী ছবি

আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন ; উত্তরা প্রতিনিধিঃ

রাজধানী উত্তরা ও তুরাগ এলাকায় আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকা এবং নাম সর্বস্ব শত শত নামধারী সাংবাদিকদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

জানা গেছে এদের নেই কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কোনো পেশাগত প্রশিক্ষণ। মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিক। হলুদ সাংবাদিকতা বলতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপন কি বুঝায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উত্তরা তুরাগে এসকল সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতা কথা বললেও ভুল হবে। এর কারণ ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ তো দূরের কথা এরা কখনো সংবাদের স’ ও লিখতে জানেন না। অনেকে হয়ে গেছেন মানবাধিকার কর্মী। তবে কেউই তাদের নিজ নিজ কাজের ব্যাপারে অবগত নয়।

তুরাগ এলাকায় রয়েছে নামধারী কিছু সাংবাদিক যাদের মূল কাজ মূলত কোন মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ কিংবা কোনো আসামি থানায় গ্রেফতার করে আনার পর তা তদবির করা। রয়েছে বেশকিছু প্রেসক্লাব। যে সকল প্রেসক্লাবের নেই কোন স্থায়ী ঠিকানা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের হকার, ড্রাইভার, সাংবাদিকতার কার্ড করেই এ সকল প্রেসক্লাবের সদস্য বনে যান। যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা ঘটনায় সর্বদা এদের দেখা যায় সবার আগে। ধর্ষনের মতো গুরুত্বর অপরাধের বিয়য়ে তদবিরের কমতি থাকে না এ সকল নামধারী সাংবাদিকদের। অনেকেই বা প্রেস আইডি কার্ড ব্যবহার করে দিনের পর দিন উত্তরার মতো আবাসিক এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন দেহ ব্যবসা।

তুরাগ উত্তরা এলাকায় প্রায় ১৫০ এর বেশি ভুঁইফোড় নামধারী সাংবাদিক রয়েছে। যাদের একমাত্র কাজ মানুষকে বিপদে ফেলে টাকা আদায় করা।

উত্তরা তুরাগ এলাকায় বসবাসকারী জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এসকল ভুঁইফোড় পত্রিকা সাংবাদিকদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ প্রকৃত সাংবাদিকরা। শুধু সাংবাদিকরাই নয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও এদের অত্যাচারে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *