উপকূলে ঘন কুয়াশা, সূর্য দেখা যায় না

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

125314a1ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে উপকূলীয় জেলার পাথরঘাটা উপজেলা। সূর্যমামা বেলা পৌনে ১২ টায়ও সরাসরি আলো  পৌঁছাতে পারেনি মাটিতে বা ফসলের গায়ে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ঘন কুয়াশায় আলুচাষের ক্ষতি হবে। বেলা সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নদী পারাপারের ফেরী বা খেয়া চলাচল বন্ধ ছিল। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস  পৌঁছায়নি পাথরঘাটায়। রবিবার থেকে পাথরঘাটা এলাকায় তুলনামূলক শীত কম পড়তে শুরু করেছে।

তবে গভীর রাত থেকে পাথরঘাটা উপজেলাসহ সন্নিকটে নদীতে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। এতে কর্মজীবীরা সময়মতো ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যেতে পারেনি। চলাচলের পাকা রাস্তা কুয়াশা পড়ে ভিজে যায়। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বেলা পৌনে ১২টায়ও আকাশে দেখা মেলেনি সূর্যের। তবে সূর্যের আভা অনুভব করা যাচ্ছে।

কৃষি বিভাগের মতে, আলুক্ষেতে মড়ক রোগের প্রকোপের আশঙ্কা দেখা দিযেছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘এই মুহূর্তে কাকচিড়া ইউনিয়নের আলুচাষ অধ্যুষিত এলাকায় কৃষকদের পরামর্শের জন্য উপস্থিত হয়েছি। ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।’

পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলারগুলো সকাল ৯টার আগে ছেড়ে যেতে পারেনি বলে জানান বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। ঢাকা থেকে গত রবিবার সন্ধ্যায় ছেড়ে আসা কোনো যাত্রীবাহী বাস এখন পর্যন্ত পাথরঘাটয় পৌঁছায়নি। নিকটবর্তী নদীতে ফেরী ও খেয়া চলাচল সকাল সাড়ে  ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল।

সাইক্লোন প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-এর এক কর্মকর্তা জানান, এলাকায় রবিবার থেকে শীতের প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। তবে আজই ঘন কূয়াশা বেড়েছে। আজ সকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে পাথরঘাটায় তাপমাত্রা বেলা ১২টায় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *