কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করল বাংলাদেশ

Slider খেলা

145747tamm_খুব অত্যাশ্চর্য কিছু না ঘটলে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র না হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে বহুদিনের পুরনো প্রশ্নটা রয়েই গেছে। টানা আড়াই দিন উইকেটের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ৯ উইকেটে ৯১৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে দিনেশ চান্দিমালের দল। ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ বাঁচানোটা জরুরি হলেও সহজ নয়।

শংকা ছিল একটি বাজে রেকর্ডের। অভিষেক টেস্টে একশর বেশি রান দিয়ে উইকেটশুন্য থাকার লজ্জার রেকর্ডে নামটা প্রায় লিখিয়েই ফেলেছিলেন সানজামুল ইসলাম। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি ৪৩ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ রান দিয়েছেন ১৪৭। অবশেষে প্রথম টেস্ট উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। লঙ্কান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দিলরুয়ান পেরেরাকে (৩২) এলবিডাব্লিউ করেই আনন্দে মেতে ওঠেন তিনি। রিভিউ নিলেও শেষরক্ষা হয়নি পেরেরার। বাজে রেকর্ডের পাশাপাশি বড় সমালোচনা থেকেও কিছুটা হলেও বেঁচে গেলেন রাজ্জাককে পেছনে ফেলে একাদশে আসা সানজামুল।

আজ শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ৫০৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম সেশনেই আগের দিন ৮৭ রানে অপরাজিত থাকা রোশান সিলভা ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই তরুণ তিন অংকে পৌঁছতে ১৯৭ বলে হাঁকান ৬ চার এবং ১ ছক্কা। অবশ্য ব্যক্তিগত ১ রানেই ফিরতে পারতেন রোশান। উইকেটকিপার লিটন দাসের সৌজন্যে নিশ্চিত স্টাম্পিং থেকে বেঁচে যান তিনি।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে তৃতীয় সেঞ্চুরির পর ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালও। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ১৩৫ রান। মেহেদী মিরাজের বলে ২৩০ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ১০৯ রান করা রোশন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি। এরপর নিরোশান ডিকাভেলাকে সঙ্গী করে ৬৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি গড়েন অধিনায়ক চান্দিমাল (৮৭)।

তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ইনিংসের চতুর্থ সেঞ্চুরিয়ান হতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক। হাফ সেঞ্চুরি করে মেহেদী মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন নিরোশান ডিকাভেলা (৬২)। প্রিয় শট রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েই লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তাইজুলের চতুর্থ শিকার হন সুরঙ্গা লাকমাল (৯)। এরপরেই ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ৬৭.৩ ওভার বল করে ২১৯ রান দিয়ে সর্বাধিক ৪ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। ৩ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ১টি করে নিয়েছেন মুস্তাফিজ এবং সানজামুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *