সুন্দরের হাতছানি, কিন্তু প্রবেশ নিষেধ!

Slider লাইফস্টাইল

 

193348Notall2

 

 

ভ্রমণ বিষয়ে লেখা মানেই সুন্দর সুন্দর সব স্থানে যাওয়া, থাকা আর ঘুরে বেড়ানোর গল্প। পৃথিবীতে অদ্ভুত সুন্দর সব স্থানের দেখা মেলে। ভ্রমণপিয়াসীরা সুযোগ পেলেই ছুটে বেড়ান সেসব স্থানে। জলপ্রপাত, সৈকত, জঙ্গল কিংবা পাহাড় দর্শনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। আজ এখানে এমন কয়েকটি স্থানের কথা বলা হলো যেখানে কোনো মানুষই যাওয়ার সাহস করেন না। যদিও সেখানে সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই। তবুও যাওয়ার সাহস করেন না। জেনে নেওয়া যাক সেইসব স্থানের পরিচয় আর না যাওয়ার কারণগুলো।

ভ্যাটিকানের সিক্রেট আর্কাইভস 


শহরের ভেতরে এক স্বাধীন রাষ্ট্র ভ্যাটিকান। নজরকাড়া ক্যাথেড্রাল আর প্রাসাদে পূর্ণ এক স্থান। পর্যটকরা ছুটে আসেন একনজর দেখার জন্যে। এখানেই থাকেন পোপ এবং আরো অনেক ধর্মীয় নেতারা। কিন্তু এই জৌলুসপূর্ণ সুন্দরের গভীরে রয়েছে রহস্যময় স্থান। অনেক গোপন নথি-পত্র রাখার একটি স্থান রয়েছে যাকে বলা হয় আর্কাইভস। সেখানে সব মানুষের প্রবেশ নিষেধ।

নর্থ সেন্টিনেল আইল্যান্ড
ভারতের একটি দ্বীপ। সেখানে প্রকৃতি তার রূপ-রং উপচে দিয়েছে। কিন্তু কেউ যাওয়ার সাহস করেন না। কারণ, স্থানটিতে বাদিবাসীদের বাস। আর তারা কোনভাবেই আধুনিকদের আনাগোনা মেনে নেয় না। বাকি দুনিয়ে থেকে মোটামুটি বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। আগন্তুকদের মেরে ফেলতে একটুও দ্বিধা করে না তারা।

সার্তসে 
আইসল্যান্ডের এই দ্বীপটিকে পৃথিবীর নবীনতম দ্বীপ হিসেবে তুলে ধরা হয়। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের ভেস্টমানাইজার আর্কিপেলাগোতে এর অবস্থান। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুতপাত থেকে এর জন্ম। সেখানে গবেষণার কাছে বিজ্ঞানীরা ছাড়া আর কেউ যেতে পারেন না। প্রকৃতি এখানে উদার।

সালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট 


নর্থ পোল থেকে ১৩ শো কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে এই রক্ষণাগার। এখানে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের বীজ সংরক্ষিত রয়েছে। কোনো ধরনের দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে প্রয়োজনে এখান থেকে বীজ নিয়ে নতুন করে উদ্ভিদ বা ফসলের আবাদ হবে। এখানে আচে ১০ লাখ বীজ। সেখানে কেউ যেতে পারে না।

মেট্রো ২ 
রাশিয়ার পাতালে গোপন এক স্থান এটি। মেট্রো ২ পাতালের এক ব্যবস্থা যা গড়ে তোলা হয় মস্কোর অফিসিয়াল পাতালব্যবস্থার পাশাপাশি। স্ট্যালিনের সময় এটা বানানো হয়। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ও প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে এটা বানানো হয়েছিল। সেখানে যে কেউ যেতে পারবে না তা অতি স্বাভাবিক বিষয়।

নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড 
নিউ ইয়র্কের এই স্থানটি পৃথিবীর নিষিদ্ধ স্থানগুলোর একটি। এর রয়েছে এক ভয়াল ইতিহাস। আমেরিকায় প্রথমবারের মতো টাইফয়েড জ্বরের আগমন ঘটলে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে এখানে হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। তখন থেকেই এই দ্বীপে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এ সুযোগ সেখানে অবশ্য প্রচুর পাখি বাসা বেঁধেছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *