গ্রিন চা এর অনেক গুণাগুণের কথাই তো শুনেছেন। এবার পুষ্টিবিজ্ঞানীদের দৃষ্টি কেড়েছে গ্রিন কফি। বিশেষ করে ওজন কমানোর যাত্রায় গ্রিন কফি আপনার নতুন বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়াও ত্বক ও চুলসহ গোটা দেহের যত্নআত্তিতে নতুন ভরসার স্থান হতে পারে গ্রিন কফি। যারা কফিপ্রেমী, বিশেষ করে তাদের জন্যে এটা একটা সুখবর। এর গুণ সম্পর্কে কিছু ধারণা নেওয়া যাক।
বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু করে
গ্রিন কফি বিনে রয়েছে ক্লোরোজেনিক এসিড যা বিপাকক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করে। যকৃত থেকে রক্তে অতিমাত্রায় গ্লুকোজ ক্ষরণ রোধ করে এটা। এ প্রক্রিয়া চলাকালীন আমাদের দেহ কোষে সঞ্চিত ফ্যাট পুড়তে থাকে। এতে ওজন কমানোর দৌড়ে আপনি অনেক এগিয়ে যাবেন।
বাড়তি ফ্যাট দূর করা
গ্রিন কফি খাওয়ার আরেকটি সুবিধা হলো দেহের বাড়তি চর্বি পুড়ে যাওয়া। এর বিনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যাদের বলা হয় এসেনশিয়াল ভিটামিন এবং মিনারেল। এগুলো থাকে অনেক বেশি পরিমাণে। যখন আপনার দেহের জরুরি ভিত্ততে ভিটামিন ও খনিজ দরকার হয়, তখন গ্রিন কফি বিপাক্রিয়াকে তুঙ্গে নিয়ে যায়। এতে দেহের অনাকাঙ্ক্ষিত চর্বি ও ক্যালোরি পোড়ে।
ক্ষুধা নিবারণ করে
ওজন কমানোর যাত্রায় সবচেয়ে বড় শত্রু ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা। গ্রিন কফির ক্ষুধা তাড়ানোর অদ্ভুত গুণ রয়েছে। যখন তখন ক্ষুধা লাগবে না। কাজেই স্থূলকায়দের ওজনও বাড়বে না। তাই যারা অতিরিক্ত খান, তারা লোভ সামলাতে পারেন গ্রিন টি এর মাধ্যমে।
বিষ মুক্তকরণ
প্রাকৃতিকভাবে দেহের বিষ দূরীকরণের যেসব উপাদান রয়েছে তার মধ্যে একটি গ্রিন কফি। দূষিত পরিবেশের কারণে তাই গ্রিন কফি শক্তিশালী পথ্য হতে পারে। দূষিত উপাদান দেহের ভেতরের কাজ-কারবার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করে।
শক্তিবর্ধক
গ্রিন কফির আরেকটি বিশেষ গুণ হলো শক্তিবৃদ্ধি করা। এটা খেলে আপনি আরো বেশি চনমনে থাকবেন। সারাদিন কাজের শক্তি মিলবে। এক কাপ গ্রিন কফি খেয়ে কাজে নামলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস