ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২

Slider সারাদেশ

a39aba6c43188028197b4240222ef512-bagerhat

 বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।
নিহত দুজন হলেন উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের তোরাব শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৪৮) ও একই গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে পলাশ শেখ (৩২)।

আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার পুঁটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত লোকজনের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও চারজনকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুঁটিখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সোনাখালী গ্রামের আবদুর রহিম খানের সঙ্গে প্রতিবেশী শহীদুল খানের এক বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে চলতি আমন মৌসুমে রহিম খান আমনের চাষ করেন। আজ সকালে ওই জমিতে প্রতিপক্ষ শহীদুল খান ১৩-১৪ জন শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে যান। এ সময় রহিম খানের স্বজনেরা তাঁদের বাধা দিলে শহীদুলের লোকজন ধারালো ছুরি-কাঁচি নিয়ে হামলা চালান। এতে রহিম খানের পক্ষের ইব্রাহিম ও পলাশ নিহত হন। আহত হন অন্তত ছয়জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, ওই জমির বিরোধ মেটাতে চলতি মাসে পুঁটিখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহচান মিয়া দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসায় বসতে চেয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতেই শহীদুল খান এই হামলা চালালেন।

পুঁটিখালী ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহচান মিয়া বলেন, ‘জমি নিয়ে রহিম ও শহীদুল খানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কেন কার উসকানিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন, তা বুঝতে পারছি না।’

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ইব্রাহিম শেখ ও পলাশ শেখকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। আহত লোকজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রহিম খান ও শহীদুল খানের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন, তা পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, সেখানে না গিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *