যৌনতার পর পুরুষদের হঠাৎ করেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে একজনের এই ঝুঁকি রয়েছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ অনলাইন দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টার হার্ট ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ওপর যৌনতার প্রভাব শীর্ষক এই গবেষণাটি করেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (এসসিএ) অনেক কারণের মধ্যে যৌনতা একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। এ কারণেই প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে তিন লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে এর সামগ্রিক হার কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকেরা গুরুতর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৪ হাজার ৫২৫ জনের ওপর গবেষণাটি করেছেন। এঁদের মধ্যে যৌনতার কারণে আক্রান্ত হওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনই পুরুষ। সব সময় হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনার ১ শতাংশ যৌনতার কারণেই ঘটে। আর এই ঝুঁকি পুরুষদের সবচেয়ে বেশি। নারীদের ক্ষেত্রে এই হার দশমিক ১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যৌনতার কারণেই হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া বা এসসিএর ঝুঁকি থাকলেও তার হার আসলে অনেক কম। আর এ ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি কম। কেউ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে সঠিক সময়ে সিপিআর করা গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) হলো বুকে চাপ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যকলাপ চালু রাখা।
প্রধান গবেষক ও সিডারস-সিনাই হার্ট ইনস্টিটিউটের সহযোগী পরিচালক সুমীত চুঘ বলেন, যৌনতার পর যদি সঙ্গিনীর সামনেই কোনো ব্যক্তি হঠাৎ করে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে জানা থাকলে ওই সঙ্গিনীই কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশনের (সিপিআর) এক-তৃতীয়াংশ কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। এ গবেষণার মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে এসব বিষয়ে সচেতন করে তোলা এবং যৌনতার পর পরই হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে সিপিআরের গুরুত্ব বোঝানো। তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারে একটি জীবন।