ভ্যাট আইন স্থগিত রাখার দাবি তথ্যমন্ত্রীর

Slider বাংলার সুখবর

263baf9d42cc96bbec093ec9c02eb874-Untitled-3

ঢাকা: আগামী অর্থবছরেও ভ্যাট আইন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ভ্যাট আইন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য তিনি আইনটি এক বছর স্থগিত রেখে বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরবর্তী অর্থবছর (২০১৮-১৯) থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব করেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাব করেন। তিনি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক আমানত আবগারি শুল্কমুক্ত রাখারও প্রস্তাব করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ভ্যাট নিয়ে ঢালাওভাবে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, তিনি তার সঙ্গে একমত নন। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাট পদ্ধতি পছন্দ করেন না। কারণ, এটি ধনী আর গরিবকে এক পাল্লায় মাপে। এ জন্য ভ্যাট পদ্ধতি বাদ দিয়ে ‘গুডস অ্যান্ড সেলস ট্যাক্স’-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন হাসানুল হক ইনু।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব খাতকে ভ্যাটের ওপর নির্ভরশীল করে রাখাটাই অর্থনীতির জন্য বড় দুর্বলতা। এই দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে হবে। এটা কাটিয়ে তুলতে হলে করপোরেট করের বিষয়টি বিবেচনা করে করপোরেট করের নতুন আইন করতে হবে। প্রগতিশীল আয়কর নীতি জোরালোভাবে চালু করতে হবে। ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে হবে। এতে করের চুরি ও ফাঁকি ধরা পড়বে।

তথ্যমন্ত্রী সংবাদপত্রের ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি করে বলেন, গত কয়েক বছরে গণমাধ্যমের যে বিকাশ হয়েছে, এই ভ্যাট তাতে ধাক্কা দেবে। এই শিল্প হোঁচট খাবে।

ইনু বলেন, ‘যাঁরা ভ্যাট আইনের সমালোচনা করছেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে এখানে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় শত শত পণ্য ভ্যাটমুক্ত করা হয়েছে।’

বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাতীয় সংসদে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সুশাসন দরকার। সুশাসন থাকলে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। আর ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়লে দেশের অর্থনীতি আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। অর্থনীতিকে আরেক ধাপ এগোতে হলে দরকার হবে সুশাসন। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ সুশাসন নিশ্চিত করবেন। এটা দুর্নীতি কমাবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াবে।

ইনু বলেন, ‘ব্যাংকে লুটপাট অব্যাহত আছে। দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। আমরা যেখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছি, সেখানে দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারীরা জামিনে মুক্ত পেয়ে ভি-চিহ্ন দেখিয়ে বেরিয়ে আসে, তা বন্ধ করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *