আমরা গনতন্ত্রপ্রিয় মানুষ। আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। দু’বেলা দু’মুঠো মোটা চালের ভাত খেতে পারলেই কেল্লাফতে। এত কিছু চাই না আমাদের। শুধু মোটা চাল পরিশ্রম করে কামাই করতে ও চাল নিয়ে ঘরে ফিরে নিরাপদে একটু ঘুম দিতে পারলেই হয়। এর চেয়ে বেশী চাহিদা অধিকাংশ মানুষের নেই। কিন্তু আমাদের চাহিদা পূরণ হল কি ভাবে? পরিবার পরিজনের পেটের ক্ষুদা নিবারণের জন্য বাইরে কাজ করতে যাওয়া ও ঘরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘরের মধ্যেও নিরাপদ নেই আমরা। আর নিরাপত রইলাম না ঈদের মাঠেও।
আমরা একটু শান্তির জন্য ভোটের অধিকার জলাঞ্জলী দিলাম। চিকন চালের ভাত ছাড়লাম। নামী দামী প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়ের লেখা পড়া করানোর শখ কুরবানী দিলাম। নাগরিক অধিকার তো শুধু নয় অনেক মৌলিক অধিকার ছেড়ে দিলাম। রাষ্ট্রের মালিকানাও যায় যায় অবস্থা। থাক, মালিকানাও যাক। তবুও একটু সুখ ও শান্তি চাই। এরপরও আমরা বাঁচতে পারছি না। ২৪ ঘন্টাই আতঙ্কে আছি। ভয় শুধু নিরাপত্তার। এই যে চলছে সন্ত্রাসের গাড়ি থামবে কোথায় জানিনা। যদি নাই থামে তাহলে কি যাত্রাবাড়িই যেতে হবে?
১লা জুলাই রাজধানী ঢাকার অভিজাত ও কুটনৈতিক জোন গুলশানে ইতিহাসের ভয়াবহ পরিণতির দাগ থাকতেই আবার রক্ত লেগেছে। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামায়াত স্থল এলাকায় পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে। ঘটেছে যুদ্ধও। পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্ধুক যুদ্ধে দুই পুলিশ সহ নিহত হলেন ৪জন।
পুলিশের ডিআইজি বললেন, গুলশানের ঘটনা ও কিশোরগঞ্জের ঘটনা এক সূত্রে গাঁথা। তাহলে আমরা নিশ্চিত হলাম সন্ত্রাসীরা থেমে নেই। তারা একের পর এক ঘটনা ঘটাবেই। আর সরকার শুধু পরস্পরকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক খেলা খেলতে থাকবে। এটা চলতে দেয়া যায় না। তাই অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। না হলে গাড়ি যাত্রাবাড়ি চলে গেলে সহসাই ফিরবে বলে মনে হয় না।