নির্বাচন নিয়ে সংকটের কথা বললেন সিইসি

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,‘‘আমরা কিন্তু একটা সংকটে আছি, কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ভোট নিয়ে আমরা এখনো রাজনৈতিক পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ দেখতে পাচ্ছি না। এই ঐক্যবদ্ধটা খুব বেশি প্রয়োজন। যদি ঐক্যবদ্ধের ভিত্তিতে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে রাজনৈতিক সংকট উদ্বুদ্ধ হওয়ার সম্ভবনাটা তিরোহিত হয়ে যায়।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবন মিলনায়তনে ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩’-এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা কখনোই চাই না, নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের সময়ে কোনো রাজনৈতিক সংকট উদ্ভূত হোক। যেমন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সংকট উদ্বুদ্ধ হওয়ার কারণে দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। কিন্তু সেটাও একটা সংকট ছিল।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি। তারপর ৭ মার্চ এসেছে। নির্বাচনের গুরুত্বটা এ কারণেই বলছি যে, একটা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখান করার কারণে একটা দেশ ভেঙে গিয়েছিল। একটা জাতি যখন দেখল তাদেরকে অপমান করা হয়েছে। তাদেরকে অস্বীকার করা হয়েছে, জনগণের আহরিত ম্যান্ডেটকে মূল্যায়ন করা হয়নি, তখন একটা যুদ্ধ হয়েছে। কাজেই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিকভাবে এটা সবাই, আমাদেরকেও অনুধাবন করতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এটা অনুধাবণ করা প্রয়োজন।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাটা খুব আস্থাভাজন হয়ে ওঠেনি। আজকে পেপার পড়ছিলাম, একজন বড় মাপের নেতাই বলছেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের সাহেব। উনার বক্তব্য হচ্ছে- নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। কিছুটা সত্য যদি থেকেও থাকে এটা ভালো কথা নয়। মানুষের আস্থাটা অর্জন করতে হবে। মানুষের আস্থা আনার জন্য আমাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যেহেতু নির্বাচন আয়োজন করবে ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

সিইসি বলেন, ‘আজকে আমরা ভোটার তালিকা দিয়েছি। প্রায় ১২ কোটি মানুষ ভোটার হয়েছে। ১২ কোটি মানুষ হয়তো ভোট দেবে না। কিন্তু ভোটার এডুকেশন বাড়িয়ে যদি দেখাতে পারি সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হয়েছে, একটা কথা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে এমনিতেই ভোটার উপস্থিতি ভালো হয়, তার সঙ্গে যদি আমাদের ভোটার এডুকেশন বাড়াতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *