লকডাউনে মারা গেছে কাঁটাবনের পাঁচ শতাধিক পশুপাখি

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

কঠোর লকডাউনে গত ১৪ দিনে রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটের দোকান বন্ধ থাকায় মারা গেছে পাঁচ শতাধিক পশুপাখি ও অ্যাকুরিয়ামের জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ। এতে করে কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোষা প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে এক ঘণ্টা পর পর পরিচর্যা করতে হয়। দোকানের শাটার বন্ধ করলেই প্রাণীগুলোর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, পরিমাণমতো খাবার এবং কিছুক্ষণ পর পর পানি না দিলে পোষা প্রাণীগুলো দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ প্রাণীকে সময়মতো পরিচর্যা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিলে মারা যায়।

জানা গেছে, গত বছর ১২ এপ্রিল কাঁটাবনস্থ অ্যাকুয়া অ্যান্ড পেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি মানবিক আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে লকডাউনের মধ্যে পশু ও মাছের জরুরি খাবার সরবরাহ এবং পরিচর্যার জন্য দোকান খোলার অনুমতি চাওয়া হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পোষা প্রাণী ও অ্যাকুরিয়ামের মাছের জরুরি খাদ্য, ওষুধ, আলো-বাতাস সরবরাহ এবং পরিচর্যার জন্য দিনে দুবার এক ঘণ্টা করে দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মন্ত্রীর নির্দেশনার পরও পশুপাখির পরিচর্যার জন্য দোকান খুলতে গেলে তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। প্রাণীদের বাঁচাতে দোকানের শাটার তুললেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা এসে তাদের ধরে নিয়ে গেছে। পরে অবশ্য দীর্ঘক্ষণ আটক রেখে আবার ছেড়ে দেয়।

কাঁটাবনস্থ অ্যাকুয়া অ্যান্ড পেট অ্যাসোসিয়েশন ও কাঁটাবন দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম লিটন বলেন, মানুষ না খেতে পারলে যেমন মারা যায়, তেমনি পোষা প্রাণীরাও না খেতে পারলে মারা যায়। সরকার দিনে দুবার দোকান খুলে প্রাণীদের খাবার-পানি দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটি শীত মৌসুমের জন্য মোটামুটি মানানসই হলেও এই গরমের মধ্যে মানানসই নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *