ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ এর দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেটে বাংলা বিভাগের অধীনে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে চলতি বছরের ১৯ মে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞাপিত পদের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপনা দিয়ে তার কর্মজীবনের শুরু হয়। তিনি বাংলা একাডেমির পরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সর্বশেষ ২০০৯ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের ফোকলোর বিষয়ক গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় একশত। তিনি একুশে পদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণাধর্মী পাচঁটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যে মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে আমি তা নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সাথে পালন করব এবং বঙ্গবন্ধুর উপর আরও উচ্চতর গবেষণা করে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর অজানা ইতিহাসকে জানানোর চেষ্টা করে যাবো। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খ্যাতিমান এই অধ্যাপকের গবেষণা অসামান্য। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ারে অধিষ্ঠিত হওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক নিয়োগের মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মহান স্বাধীনতা নিয়ে উচ্চতর গবেষণার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে এই চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ‘
সোমবার উপাচার্যের বাস ভবনে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা এ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমান, সহকারী অধ্যাপক আনিচুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফসহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা।