আপনের তিন মালিকের তিন মামলায় জামিন

Slider বাংলার আদালত

143032Apon

 

 

 

 

মুদ্রা পাচারসহ তিন মামলায় দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের জামিন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, বাকি দুই মামলার বিষয়ে আগামী ২৬ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।

তাই, বাকি দুই মামলায় জামিন না হওয়ায় আপাতত তাদের মুক্তি মিলছে না।

জামিনের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

এর আগে বুধবার শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। সে অনুযায়ী আজ এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। আজ তিন মামলায় জামিন দেওয়ার পর বাকি দুই মামলায় (স্ট্যান্ড ওভার) স্থিতিবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে ২২ নভেম্বর আপন জুয়েলার্সের মালিকদের কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেপ্তার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।

বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’-এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা।

মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭৩৬৯টি হীরার অলংকার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমণ্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।

দুই মামলায় গত ২২ আগস্ট তিন ভাই হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এরপর বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *