ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলা আগামী ৬ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ মেলা চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটি সবচেয়ে বড় বাৎসরিক আয়োজন। ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’র এবারের প্রতিপাদ্য ‘রেডি ফর টুমরো’ বা ‘আগামীর জন্য প্রস্তুত’।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতর মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ কথা জানান।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশ আগামী দিনের চতূর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আর সে তথ্যই জনগণের সামনে তুলে ধরতে এ আয়োজন।
সংবদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় সফটওয়্যার প্রদর্শনী জোন, ই-গভর্নেন্স জোন, মোবাইল ইনোভেশন জোন, ই-কমার্স জোন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ জোন, এক্সপেরিয়েন্স জোন, মেড ইন বাংলাদেশ জোন এবং আন্তর্জাতিক জোন নিয়ে মোট ৮টি জোন থাকবে এবং ৫ লাখেরও বেশি দর্শক মেলায় অংশ নেবে।
১২ ডিসেম্বরকে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালনে মন্ত্রিপরিষদের অনুমতিলাভের কথা জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা তার নির্বচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা দেন, তা স্মরণ করেই এদিবস পালনের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ কেবল একটা ইভেন্ট নয়, বরং বিনিয়োগ, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, শিল্প নেতৃবৃন্দ এবং দেশের আইটি-কর্মিবৃন্দকে সংযুক্ত করার একটা সুন্দর উপলক্ষ। চার দিনের মেলায় প্রায় ৭০ জন বিদেশি এবং একশোরও বেশি স্থানীয় স্পিকার ৩০টির অধিক সেশনে অংশ নেবে।
রোবট ‘সোফিয়া’সহ বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান ফেসবুক; কোয়ালকম ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী ফিনল্যান্ডের রোভিও সেমিনারে অংশগ্রহণ করে আমাদের সমৃদ্ধ করতে যাচ্ছে।
এ সময়ে প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার প্রমুখ উপস্থিত ছিলন।