পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন জটিল হয়ে উঠছে

Slider বিচিত্র

02574e79f4425be4ae9c33c91fe5ee87-5a195ae32562e

 

 

 

 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। বিভিন্ন সময় শাসক গোষ্ঠীর অনাগ্রহের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের ২০ বছর পর উদাহরণ দিয়ে দেখানোর মতো অর্জন নেই।

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২০ বছর: পার্বত্যবাসীর ভূমি অধিকার সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন সুলতানা কামাল। বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং আন্তর্জাতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন (সিএইচটি কমিশন) যৌথভাবে এর আয়োজন করে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, পার্বত্য এলাকায় এক ধরনের দখলদারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যাদের ওপর চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল তারা তা পালন করেনি। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবেই এ চুক্তির বাস্তবায়ন দুরূহ হয়ে উঠেছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়েন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক গৌতম দেওয়ান। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা বাঞ্ছনীয়। পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত দ্রুত। আর এ জন্য স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে একটি ভোটার তালিকা করতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় ২ লাখ ১৮ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ হাজার এখন জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে। আর এর ফলে বনবাসী স্থানীয় মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে।

আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, পাহাড়ের মানুষ চুক্তির সফল বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করছে। আর তারা বারবারই উপেক্ষিত হচ্ছে চুক্তির বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের, তাদের কাছে থেকে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বেসরকারি সংগঠন ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *