এর আগে মন্ত্রী, সচিবসহ কয়েকজন কর্মকর্তা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছে এই পরীক্ষা।
মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়ার একটা মাধ্যম হলো মুঠোফোন। কিন্তু এবার কোনো শিক্ষক মুঠোফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। কেউ যদি ভুল করেও নিয়ে আসেন, সেটা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে রেখে যেতে হবে। তাই এবার প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার সুযোগ নেই।
শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই পঞ্চম শ্রেণি শেষে এ পরীক্ষা থাকবে কি না—এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাঁরা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তই প্রতিপালন করছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভা সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। অর্থাৎ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে।
এবার প্রায় ৩১ লাখ খুদে পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় জাতীয়ভাবে এটি দেশের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবারে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পরীক্ষার্থী ২৮ লাখ ৪ হাজার ৫০৯ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫২৪ জন এবং ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন। মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন। মোট ৭ হাজার ২৭৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা।
আজ শুরু হওয়া এই পরীক্ষা শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। সময়সূচি অনুযায়ী, বেলা ১১টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হবে দেড়টায়। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা বাড়তি ২০ মিনিট পাবে। ছয়টি বিষয়ে এই পরীক্ষা হবে।