ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, ইরাক-ইরান সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩২০ জন নিহত হয়েছে।
তারা বলছেন, এতে আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পে ওই এলাকার ভবনগুলো ধসে পড়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
ভূমিধ্বসের কারণে উদ্ধার তৎপরতাও ব্যাহত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে সারপল-ই-জাহাব শহরের প্রধান হাসপাতালটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
সীমান্তের ওপারে ইরাকের কুর্দিস্তানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, সাত দশমিক তিন মাত্রার এই ভূমিকম্পে ইরাকে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন।
কেন ইরানে এতো ভূমিকম্প
বিশ্বের যেসব এলাকায় বার বার এধরনের ভূমিকম্প হয় ইরান তার একটি। এর আগেও দেশটিতে বেশ কিছু বড় আকারের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
এর কারণ হচ্ছে, সাধারণভাবে বলা যায়, আরাবিয়া এবং ইউরেশিয়া টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ।
আরাবিয়া প্লেটটি প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে উত্তরে সরে যাচ্ছে।
ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আরাবিয়া প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটটিকে নিচ থেকে ধাক্কা দিচ্ছে। কিন্তু দেশটির উত্তর-পশ্চিমে এই দুটো প্লেট একে অপরকে সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে।
এসব সংঘর্ষ থেকেই সেখানে সৃষ্টি হয়েছে জাগরস পর্বতমালার।
প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, থ্রাস্ট ফল্টের (চাপের কারণে একটি প্লেট যখন আরেকটি প্লেটের উপর উঠে যায়) কারণে এই ভূমিকম্প হয়েছে।
এই ভূমিকম্পে কতো মানুষ হতাহত হতে পারেন তার একটি হিসাব অনুমান করার চেষ্টা চলছে।
এটা করা হয় ভূমিকম্পের মাত্রা, জনবসতির ঘনত্ব এবং স্থানীয় বাড়িঘর কি ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে।
এই মডেল থেকে হয়তো প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না। কিন্তু এই দুর্যোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।
– বিবিসি বাংলা