কাপাসিয়ায় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত-পা বিচ্ছিন্ন করলোনরপশুরা

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা নারী ও শিশু বাংলার আদালত বাংলার মুখোমুখি রাজনীতি সারাদেশ

ছবিটি বিভসৎ, প্রকাশযোগ্য নয়

flage

ষ্টাফ করেসপনডেন্ট

গ্রাম বাংলা নিউজ ২৪.কম

গাজীপুর অফিস: কুনুই এর উপর থেকে ডান হাত এবং হাটুর নীচ থেকে ডান পা কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্যা কুপের রক্তাক্ত ক্ষত ও ক্ষতের মাংসপিন্ড বিচ্ছিন্ন করে আবর্জনার মত ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। এই হৃদয় বিদারক একটি লাশের জন্ম দিয়েছে একদল নরপশু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক মহিলাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বেলা ১১টায় কাপাসিয়ায় রাউতকোনায় ওই হৃদয় বিদারক ঘটনার পর সন্ধ্যায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ৩২ বছরের যুবক হুমায়ূন কবিরের মরদেহ।

গাজীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের সম্পূর্ন নিরাপত্তার মধ্যে আটক রয়েছে হুমায়ুন কবিরের লাশ। কৌশলে ধারণ করা হয়েছে ছবি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হমায়ূন কবির কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ছেলেকে বাঁচাতে এসে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবা নুরুল ইসলাম। নুরুল ইসলাম স্থানীয় ওয়ার্ড আঃলীগের সভাপতি এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির বাবা শহীদ ময়েজ উদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী এখন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।

হত্যা কান্ডের নেপথ্যে:

একাধিক গোপন সূত্র বলছে, সম্প্রতি কাপাসিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধ চলছে। প্রায়ই সংঘর্ষ আর হট্রগোল কাপাসিয়া আওয়ামীলীগের নিয়মিত ঘটনা। এরই জের ধরে বর্তমানে জেলে রয়েছেন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক(বহিস্কৃত) আনিছুর রহমান আরিফ। আরিফকে উপজেলা আওয়ামীলীগ বহিস্কার করলেও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন  বলেছেন, কোন বহিস্কারের সংবাদ তিনি জানেন না।

এই অবস্থায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের আরিফ সহ ১০ নেতা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আরিফ বহিস্কারের পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন রাউতকোনা এলাকার বাসিন্দা কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।

সুত্র মতে, নিহত হুমায়ূন কবির কারারুদ্ধ আরিফের ঘনিষ্ট সহকর্মীও কট্রর সমর্থক ছিলেন। আরিফ জেলে যাওয়ার পর তিনি প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না। ২৭ মে আরিফের প্রতিপক্ষ কাপাসিয়া উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান এড. রেজাউর লস্কর মিঠু হুমকির অভিযোগ এনে আরিফের ভাই মুজিবুর রহমানের নামে জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী নং ২৫৪৯ দায়ের করেন।

শুক্রবার সকাল ১১টায় হুমায়ূন কবির নৃশংসভাবে খুন হন। এই খুনের নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে তা এখনো আবিস্কার হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে।

এলাকাবাসী বলছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে খুন হয়ে থাকলে খুনীরা হুমায়ূনের হাত ও পা কেটে ফেলে কেন উল্লাস করবে! হুমায়ুনের দেহে অসংখ্য জখম ও মাংস আলাদা করে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ অন্য কোন ইঙ্গিত বহন করে কিনা তা তদন্তের দাবি রাখে বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আহসান উল্লাহ বলেছেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। এখন কোন মন্তব্য করা যাবে না। তবে জিঞ্জাসাবাদের জন্য একজন মহিলাকে আটক করা হয়েছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *