মহিমাগঞ্জের রংপুর সুগার মিল এলাকায় আখ চাষ কম

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি
aakhগাইবান্ধার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর সুগার মিলের বিভিন্ন জোন এলাকায় চলতি আখ রোপন মৌসুমে আখের উৎপাদন হয়েছে অনেক কম। ফলে আখের অভাবে মিলে চিনি উৎপাদন হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ মৌসুমে এতো কম আখ উৎপাদন হওয়ার জন্য এলাকাবাসী সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ইক্ষু কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন।
সুগার মিল সুত্র জানায়, চলতি আখ রোপন মৌসুমে রংপুর সুগার মিলের বিভিন্ন জোন এলাকায় মাত্র ৫ হাজার ৩৭০ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মিল গেট (এ) এলাকায় ১ হাজার ৪১৭ একর, মিল গেট (বি) এলাকায় ১৮৯ দশমিক ১৩ একর, গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ৫৩৪ দশমিক ৫২ একর, সাহেবগঞ্জ এলাকায় ১ হাজার ৫২৬ একর, মোকামতলা এলাকায় ১২৮ দশমিক ৪৫ একর, পলাশবাড়ি এলাকায় ২৭৪ দশমিক ৬২ একর, পীরগঞ্জ এলাকায় ৬৩৮ একর ও নলডাঙ্গা এলাকায় ৬৫২ দশমিক ৭৮ একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদিত আখের মধ্যে মাত্র আনুমানিক ৬০ হাজার মেঃ টন আখ সুগার মিলে সরবরাহ করা হবে। যা দিয়ে সুগার মিলটি আগামী মৌসুমে ৪০ থেকে ৪৫ দিনের বেশি চালানো সম্ভব হবে না। গত আখ রোপন মৌসুমে সুগার মিলের বিভিন্ন জোন এলাকায় প্রায় ৭ হাজার ৪০ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছিল এবং ওই সব উৎপাদিত আখের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯২ হাজার মেট্রিকটন আখ সুগার মিলে সরবরাহ হওয়ায় সুগার মিলটি ৮২ দিন চালানো সম্ভব হয়েছিল।
মিল জোন এলাকার আখ চাষী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গতবার মাড়াই মৌসুম শেষ হওয়ার তিন মাস পর কৃষকরা টাকা পান। কর্তৃপক্ষের এই তালবাহানার কারণে আখ চাষে আগ্রহ কমেছে। অন্যদিকে সুগার মিলের একটি সুত্র জানায়, সুগার মিলের কাছে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার পরও অনেক চাষী গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে বেশী দাম পেয়ে গোপনে আখ বিক্রি করছে। স্বাভাবিক কারণে এতে মিল প্রয়োজনীয় আখ পাবে না।
এ ব্যাপারে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক বলেন, মধ্য ডিসেম্বর থেকে মাড়াই মৌসুম শুরু হবে। মাড়াই মৌসুম সফল করতে বছরের প্রথম থেকেই কৃষকদের ঋণ সুবিধা, বীজ, সার , কীটনাশক চাষ ও সেচের টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া চাষীদের সাথে নিয়মিত উদ্বুদ্ধকরণ মিটিং চালানো হয় । কর্মকর্তাদের কোনধরণের গাফিলতি নেই। তাই  আমরা আশা হারাতে চাই না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *