ফরিদপুরে ১৬০ মিটার সড়ক ধসে খালে

Slider ঢাকা

4046d4e7450d1da57e9bfc4e02ff8bd6-59f8ed2b39e29

 

 

 

 

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদরপুর-চন্দ্রপাড়া সড়কের অংশবিশেষ পাশের খালে ধসে পড়েছে। এতে চার দিন ধরে সড়কটিতে বাস-ট্রাকসহ বড় যানের চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আঞ্চলিক এ সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মালিকানাধীন। এলজিইডির সদরপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদরপুর শহর থেকে ঢেউখালী চন্দ্রপাড়া বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার। পাকা এ সড়কটি ১২ ফুট প্রশস্ত। উপজেলার দশহাজার গ্রামএলাকায় এই সড়কের উত্তর পাশ দিয়ে ভুবনেশ্বর নদের বাবুরচর খাল প্রবাহিত হয়েছে।

স্থানীয় তিনজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দশহাজার গ্রাম এলাকায় সড়কটির অন্তত পাঁচটি জায়গা ধসে বাবুরচর খালে পড়েছে। এসব জায়গায় ১২ ফুট প্রস্থের পাকা সড়কটির ৬-৯ ফুট ভাঙনে বিলীন হয়েছে। সব মিলিয়ে সড়কটির ১৬০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। সবচেয়ে বড় ধস নেমেছে গ্রামের মো. মাহাবুব খানের বাড়ির সামনে। সেখানে ১২ ফুট রাস্তার মধ্যে ৯ ফুটই নেই। ফলে সড়কটি দিয়ে এখন কেবল ইজিবাইক বা রিকশা-ভ্যানের মতো ছোট যান কোনোমতে চলাচল করছে।

দশহাজার গ্রামের বাসিন্দা সরকারি ইয়াছিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. হাসিবুল খান বলে, ২০-২২ অক্টোবর ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ধস দেখা যায়।দিনে দিনে ভাঙন বাড়তেই থাকে। এর মধ্যে গত শনিবার গ্রামের মাহাবুব খানের বাড়ির সামনে সড়কের পাশের দুটি রেইনট্রিসহ বড় একটি অংশ ধসে পড়ে। এরপর থেকে আর বাস-ট্রাকের মতো বড় আকারের যান সড়কটি দিয়ে চলতে পারছে না।

গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে লোকজন সদরপুরের চন্দ্রপাড়া দরগা শরিফে যাতায়াত করেন। পাশাপাশি স্থানীয় ঢেউখালী ইউনিয়নের গ্রামগুলোসহ আশপাশের ২৬টি গ্রামের আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়ায় এখন সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সদরপুর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ নিজামউদ্দিন বলেন, সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখতে গতকাল মঙ্গলবারথেকে ধসে পড়া অংশে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এতে ধস বন্ধ হবে না। তবে চলাচলের জন্য হয়তো সড়কটি চালু রাখা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, খালের পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত তিনটি নকশা প্রস্তুত করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। যে নকশাটি অনুমোদন করা হবে পরবর্তী সময়ে তার আলোকে প্রকল্প প্রস্তুত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *