জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ জুলাই এই দুর্নীতি মামলায় ১১ সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করতে খালেদা জিয়ার করা আবেদন নাকচ করে দেন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালত। এরপর হাইকোর্টে আবেদন জানান খালেদা জিয়া। আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের ৯ সাক্ষীকে মূল জেরা ও অন্য দুই সাক্ষীর পুনঃজেরা করতে চাওয়া হয়। কিন্তু শুনানি শেষে গত ২২ অক্টোবর ৯ সাক্ষীকে মূল জেরা করতে চেয়ে করা আবেদনটি পর্যবেক্ষনসহ নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। অন্য দুই সাক্ষীর পুনঃজেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশ দেন তারা।
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এ ব্যাপারে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলায় ১১ সাক্ষীকে পুনঃজেরা করতে চেয়ে তার করা আবেদনের ওপরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।
সর্বোচ্চ আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই।
তিনি আরো জানান, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ চাইলে লিভ টু আপিল করতে পারেন।